সিলেটটুডে ডেস্ক

২৫ মার্চ, ২০১৭ ১৮:১১

‘বিতর্ক শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করে’

সিলেটে বিএফএফ-সমকাল স্কুল বিজ্ঞান বিতর্ক প্রতিযোগিতা

প্রায় প্রতিবছরের ন্যায় এবারও জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হলো সিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এর আগে গতবছর সিলেট অঞ্চল পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অগ্রগামীর ক্ষুদে বিতার্কিকরা।

শনিবার জেলা পর্যায়ে বিএফএফ-সমকাল ৫ম জাতীয় স্কুল বিজ্ঞান বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তারা বাংলাদেশ ব্যাংক স্কুলকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়। চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ ছাড়া বিতর্কে অংশ নেয় দশগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়, কিশোরী মোহন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শাহজালাল উপশহর হাইস্কুল ও দ্বীপশিখা ফ্রি ক্যাডেট এন্ড হাইস্কুল।

সকালে বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এ সময় তিনি বলেন, বিতর্ক শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করে। তারা তাদের মেধা ও জ্ঞানের জগতের জানান দিতে পারে। সমকাল বিজ্ঞান নিয়ে যে আয়োজন করে আসছে তা সত্যিকার অর্থে শিক্ষার্থীদের উপকারে আসবে। তিনি এধরণের প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের যেকোনো সহায়তার আশ্বাস দেন।

বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে বিতার্কিকরা সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে শাহজালাল উপশহর হাইস্কুলের অডিটোরিয়ামে সমবেত হয়। ৯ টায় বিতর্ক শুরু পর তর্কযুদ্ধে প্রতিটি স্কুলের বিতার্কিকরা যেনো কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। যুক্তি ও তর্কে শেষ পর্যন্ত এগিয়ে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক স্কুল ও সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ধনী-দরিদ্র বৈষম্য বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে’-এমন বিষয়বস্তুর পক্ষে ব্যাংক স্কুল এবং বিপক্ষে অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিতার্কিকরা অবস্থায় নেয়। একে অপরকে সব ধরনের যুক্তি দিয়ে ঘায়েল করার চেষ্ঠা চালায় দুই দলেরই বিতার্কিকরা। ফাইনালে ৩৫৩ দশমিক ৫ পয়েন্ট নিয়ে সেরা হয় অগ্রগামীর বিতার্কিকরা। আর ২৮৬ নাম্বার পেয়ে রানার্স আপ হয় ব্যাংক স্কুল। সুপ্রভা সুবহা জামানের নেতৃত্বাধীন চ্যাম্পিয়ান দলের অপর দু’সদস্য হলেন তাসফিয়াহ জাহান ও সানজিদা ইসলাম শায়লা। রানার্স আপ দলে ছিলেন আল ইমাজ লিয়ন, ফাহমিদা নাজনিন ও সাদিয়া সাইদ জলি।

ফাইনাল শেষে পুরস্কার বিতরণ ও অংশ গ্রহনকারীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন অতিথিরা। এ সময় তারা বলেন, বিজ্ঞান-প্রযুক্তির ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। বিশাল অংশ তরুণ সমাজকে বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তুলতে হবে। দেশের সার্বিক উন্নতির জন্য শহরের পাশাপাশি গ্রামের শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান মনস্ক করে গড়ে তোলার আহবান জানান তারা।

সমকাল সুহৃদ সুব্রত বসু বাপ্পার সভাপতিত্বে ও সিলেট ব্যুরোর স্টাফ রিপোর্টার ফয়সল আহমদ বাবলুর পরিচানায় শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন সমকাল সিলেটের স্টাফ রিপোর্টার মুকিত রহমানী। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, শাহজালাল উপশহর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক এম আক্কাস আলী। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য মোকাদ্দেস বাবুল, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক সভাপতি তাসলিমা আক্তার ও শাবি’র ডিবেটিং সোসাইটির ইংরেজি বিতর্কের সমন্বয়ক জান্নাতুল তাজরীন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, একই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মাহমুদ হাসান, সিনিয়র শিক্ষক রুহুল আলম, বসুন্ধরা টিস্যু এন্ড এফোর পেপার এন্ড হাইজিন প্রোডাক্টের এজিএম (সেলস) মো. আব্দুল মান্নান, দ্বীপশিখা স্কুলের শিক্ষক সুহেল আহমদ, দশগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক স্বপন দাস ও নেছার উদ্দিন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সুহৃদ সুজিত দাস, সাবের হোসেন রানা প্রমুখ।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত