সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

২৮ মার্চ, ২০১৭ ১৫:৫৭

গোয়াইনঘাটের ফতেহপুরে সূচনা প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

ফ্রেন্ডস ইন ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশ (এফআইভিডিবি) গোয়াইনঘাট উপজেলার ০৫ টি ইউনিয়নে বসবাসবাসরত দরিদ্র এবং হতদরিদ্র পরিবার সমূহকে সচেতনতা, প্রশিক্ষণ এবং উপকরণ প্রদানের মাধ্যমে পুষ্টি ঘাটতি দূর করে খর্বাকৃতি প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় গোয়াইনঘাট উপজেলার ৬ নং ফতেহপুর ইউনিয়নে সূচনা প্রকল্পের কার্যক্রমের এক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৭ মার্চ) প্রকল্পের গর্ভন্যান্স এন্ড কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার আবুবকর শিকদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ অবহিতকরণ সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কো-অর্ডিনেটর নীহার সিংহ। সভায় সভাপতিত্ব করেন অত্র ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইসা মিয়া।

আরও উপস্থিত ছিলেন, ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর সাজেদা বেগম, ফুজায়েল আহমদ, সমর শুক্ল বৈদ্য, ইউনিয়ন সচিব মমতাজ আহমেদ, ইউপি সদস্য সুফিয়া মঞ্জুর, হাজিরা বেগম, সোয়াব আলী, এখলাসুর রহমান, বদরুল ইসলাম, ফখর উদ্দিন, মোঃ গৌছ উদ্দিন, অনিতা খাসিয়া প্রমুখ।

অতিথির বক্তব্যে উপজেলা কো-অর্ডিনেটর সূচনা প্রকল্পের কার্যক্রম তুলে ধরেন ও সূচনা প্রকল্প সিলেট অঞ্চলে কেন কাজ করছে সে বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি জানান, সারা বাংলাদেশে খর্বাকৃতির হার ৩৬%। কিন্তু সিলেট জেলায় খর্বতার হার ৪৯.৬%। খর্বতার হার বেশী হওয়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে অপুষ্টি। এই প্রকল্প অপুষ্টি প্রতিরোধে কাজ করবে। অপুষ্টি প্রতিরোধে ৫টি উদ্দেশ্য ও বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সূচনা প্রকল্প। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষ, পুকুরে মাছ চাষ, আয়বর্ধক কর্মসূচি, গর্ভবতী মা, শিশুর মা ও তাদের শ্বাশুড়ীদের নিয়ে পুষ্টি সেশন, কিশোরীদের জীবন-দক্ষতা শিক্ষা প্রদান ও আয়বর্ধক কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট করা।

ইউপি সদস্য জনাব এখলাসুর রহমান বলেন- এফআইভিডিবি-সূচনা প্রকল্পের উপকারভোগী বাছাই পর্বের সাথে আমি সংশ্লিষ্ট ছিলাম। তারা অত্যন্ত সুকৌশলে এলাকার মুরব্বী, ইউপি সদস্য এবং গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বাছাই পর্বটি সুষ্ঠুভাবে করেছেন। সূচনা প্রকল্পের মূল লক্ষ্য পুষ্টি ঘাটতি দূর করে শিশুদের খর্বাকৃতির হার প্রতিরোধ করা। আমাদের এলাকার শিশুরা পুষ্টিহীনতায় ভোগার কারণে বয়স অনুযায়ী যেভাবে বড় হওয়ার কথা, সেভাবে তারা বেড়ে উঠতে পারছে না। বেড়ে না ওঠার কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হচ্ছে, যেমন- শিশুটি প্রতিবন্ধি হতে পারে, বুদ্ধি কম হবে, সমাজে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অক্ষম। তাই আমরা সকলে সূচনা প্রকল্পের কার্যক্রমে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। কারণ এই প্রকল্পটি শুধু শিশুর উন্নয়নে নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আজকের শিশুই আগামী দিন এই এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ইউপি সদস্য ইসা মিয়া বলেন, সূচনা কার্যক্রম আমাদের ইউনিয়নে শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রম সত্যিকার অর্থে আমাদের এই গরীব এলাকার জন্য খুবই প্রয়োজন। আমরা যদি একটু সচেতন হই, তাহলেই আমাদের এ অবস্থার উন্নতি সম্ভব।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত