সিলেটটুডে ডেস্ক

১৪ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১৪:৫৩

বিজয়ের ব্যাটে যুবক আহতের অভিযোগ, বিজয়ের অস্বীকার

জাতীয় ক্রিকেটার এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটের আঘাতে তাদের বাড়িয়ালার ছেলে মোতালেব হোসেন বাপ্পী (২৪) গুরুতর আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত বাপ্পি কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়ার গৌরিশংকর আগরওয়ালা সড়কের আব্দুল হালিমের ছেলে। তাদের বাড়িতে ক্রিকেটার বিজয়ের পরিবার ভাড়া থাকেন।

তবে বিজয় বলছেন ‘আমি কেন ওদের পিটাতে যাব। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমি জাতীয় দলের ক্রিকেটার। আমি খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকি। আমার এসবের সময় কই? ওরাই আমার পরিবারকে অপমান করে এখন আমার নামে এসব ছড়াচ্ছে। আমি এসবের কিছুই জানি না। আমাকে সবার কাছে খাটো করতেই এমনটি করেছে। আমি এর প্রতিবাদ জানাই।’

অভিযোগে প্রকাশ, রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়ার গৌরিশংকর আগরওয়ালা সড়কের হাজী আব্দুল হালিমের চারতলা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

আভিযোগের ব্যাপারে আহত বাপ্পীর বাবা হাজী আব্দুল হালিম বলেন, চার বছর ধরে আমার চারতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় জাতীয় ক্রিকেটার এনামূল হক বিজয়ের বাবা জামিল হোসেন লিচু তার পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন। আমার বাড়ির নিচ তলায় একটি গোডাউন রয়েছে। সেখানে আমার দোকানের চাল-ডালসহ কিছু মালামাল রাখা হয়। রোববার সকালের দিকে আমার ছেলে বাপ্পী গোডাউন খুলতে গিয়ে দেখে আমাদের নিজেদের তালার পরিবর্তে অন্য একটা তালা লাগানো রয়েছে। তখন এ বিষয়ে বিজয়ের বাবা জামিল হোসেন লিচুর কাছে জানতে চাইলে এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়।

তিনি আরও জানান, এরপর রাতের দিকে বাপ্পীকে বাড়ির নিচতলার গেটের ভেতর ঢুকিয়ে বিজয়ের হাতে থাকা বেজ ব্যাট ও তার ভাই সজিবের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতর্কিতভাবে তাকে আঘাত করতে থাকে। প্রাণভয়ে বাপ্পী দৌড়ে উপরে তিন তলায় নিজ ঘরে প্রবেশ করলে হামলাকারী বিজয় ও তার তিন সহযোগীরা এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে। এক পর্যায়ে বাড়ির লোকজনের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে বাপ্পী হাসপাতালের ১০নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রাজিব শাহরিয়া জানান, তার গায়ে ও পায়ে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এখানে বেশ কয়েকদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হবে।

এ অভিযোগ প্রসঙ্গে এনামুল হক বিজয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘পাড়ার বখাটে ছেলে ওরা। আমাদের বাসা থেকে মোটরসাইকেল চুরির চেষ্টা করেছে। আমার পরিবার বাধা দিতে গেলে তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। আমার বাবা ও পরিবারের লোকজনকে অপমান করেছে। আমি এ ঘটনা শুনে ঢাকা থেকে বাড়িতে গিয়েছিলাম। অভিযোগ করতে গেলে থানা থেকে মীমাংসার কথা বলা হয়েছে। এখন আমার নামে উল্টো এসব দুর্নাম ছড়ানো হচ্ছে। আমি এসবের কিছুই জানি না।’

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার দেবনাথ জানান, দু’পক্ষ থেকেই অভিযোগ এসেছে। তদন্ত করে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত