স্পোর্টস ডেস্ক

০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০২:১৮

বাংলাদেশ ফুটবলের লজ্জার রাত!

৩১ বছর আগে যে দলকে ৮-০ গোলে হারিয়েছিল সেই মালদ্বীপের কাছে এখন ৫-০ গোলের লজ্জায় ডুবে গেল বাংলাদেশ। ১৯৮৫ সালে মালদ্বীপকে ৮-০ গোলে হারানোর ৩১ বছর পর সেই বাংলাদেশকেই লজ্জাটা ফেরত দিল মালদ্বীপ।

মালেতে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত যেন বাংলাদেশের এক লজ্জার রাত, যেখানে প্রীতি ম্যাচে মালদ্বীপ ৫-০ গোলে হারালো বাংলাদেশকে।

বৃহস্পতিবার রাতে মালেতে মালদ্বীপের পক্ষে হ্যাটট্রিক করেন আসাদুল্লাহ আব্দুল্লাহ। অপর দুই গোল হামজাথ মোহাম্মদ ও ইসমাইল ইসার। এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচ মালদ্বীপের কাছে হারল বাংলাদেশ।

মামুনুল ইসলাম, জামাল ভূঁইয়া, জুয়েল রানার মতো নির্ভরযোগ্যদের দেশে রেখে মালদ্বীপ মিশনে যান সেইন্টফিট। তার শিষ্যদের শুরুটা মোটামুটি ভালোই ছিল; কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে উড়ে যায় সেইন্টফিটের দল।

ষষ্ঠ মিনিটে গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় এগিয়ে যাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। বক্সের মধ্যে শাখাওয়াত হোসেন রনির শট কর্নারের বিনিময়ে ফেরার মালদ্বীপের গোলরক্ষক মোহাম্মদ ইমরান।

২৩তম মিনিট পর প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের ভুলে বল পেয়ে বাংলাদেশের সোহেল রানার নেওয়া শট কর্নারের বিনিময়ে ফেরান ইমরান। ৩২তম মিনিটে জাফর ইকবালের হেড মালদ্বীপের পোস্টের ওপর দিয়ে উড়ে যায়।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে ভালো একটি সুযোগ নষ্ট করেন মালদ্বীপের ইমাজ আহমেদ। আসাদুল্লাহর বাড়ানো বলে আশফাক আলির ক্রস বক্সের মধ্যে পেয়েও পোস্টের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন এই ফরোয়ার্ড।

৫৩তম মিনিটে এগিয়ে যায় মালদ্বীপ; ডান দিক থেকে আহমেদ আব্দুল্লাহর বাড়ানো ক্রসে নিখুঁত টোকায় বল জালে জড়ান আসাদুল্লাহ। সাত মিনিট পর বাঁ দিক থেকে আশফাকের বাড়ানো ক্রস ধরে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন আসাদুল্লাহ।

৭৮তম মিনিটে আশফাকের তৈরি করে দেওয়া বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে স্কোরলাইন ৩-০ করেন বদলি নামা হামজাথ।

আহমেদের বাড়ানো বল ধরে ৮১তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণের আনন্দে মাতেন আসাদুল্লাহ। এরই সঙ্গে বাংলাদেশের ম্যাচে ফেরার আশা শেষ হয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে মালদ্বীপকে পঞ্চম গোল এনে দেন ইসা।

এই বড় হারের লজ্জা নিয়েই নিজের কোচিং ক্যারিয়ারে বাংলাদেশ অধ্যায় শুরু করলেন টম সেন্টফিট। ডাগআউটে অসহায়ভাবে দেখলেন তাঁর দলের আত্মসমর্পণ।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত