স্পোর্টস ডেস্ক

২৯ নভেম্বর, ২০১৬ ১৫:৪৯

পাকিস্তানকে ১৩৮ রানে হারিয়ে ধবলধোলাই করলো নিউজিল্যান্ড

পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ জিতে নিলো নিউজিল্যান্ড। শেষ টেস্টের ফাইনাল সেশনে ৯ উইকেট তুলে নিয়ে কিউইরা জয় পেয়েছে ১৩৮ রানে। আর পাকিস্তান হোয়াইটওয়াশ হলো ২-০ ব্যবধানে।

প্রথমে সামি আসলাম আর আজহার আলীর জুটি স্বপ্ন দেখাচ্ছিল পাকিস্তানকে। ওপেনিংয়েই দুজন তুলে ফেলেছিলেন ১৩১ রান। ৩৬৯ রানের অসম্ভব লক্ষ্যটাও তখন আর খুব অসম্ভব মনে হচ্ছিল না।

যে কারণে পাকিস্তান দ্রুত রান তোলার তাগিদ থেকে ব্যাটিং অর্ডারে তুলে দেয় সরফরাজ আহমেদকে। সেটি অবশ্য তিনে নামা বাবর আজম ফিরে আসার পর। সরফরাজও বেশিক্ষণ থাকেননি। তার আগে সামি আসলামও আউট হয়ে যাওয়ায় স্কোরবোর্ডে তখন উইকেটের ঘরে ‘৪’। রান ১৯৯।

রান নিয়ে ভাবার অবস্থা আর নেই তখন। হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে প্রশ্ন তখন একটাই—সিরিজ হারা তো নিশ্চিতই, পাকিস্তান ম্যাচটা কি বাঁচাতে পারবে?

সেটাও তারা পারল না। শীতের হলুদ পাতার মতো উইকেট পড়তে শুরু করল। ২৬ রানে শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান অলআউট হয়ে গেল ২৩০ রানেই। ১৩৮ রানে জিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রায় ৩২ বছর পর টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল নিউজিল্যান্ড। প্রতিশোধও নেওয়া হলো একটা। ১৯৯০ সালে পাকিস্তানের মাটিতে ধবলধোলাই হয়েছিল নিউজিল্যান্ড, সেটির প্রতিশোধ।

টেস্টে পাকিস্তানের পক্ষে দ্বিতীয় দীর্ঘতম জুটিটা গড়েছিলেন সামি আসলাম আর আজহার আলীর জুটিটা ছিল বলের হিসাবে টেস্টে পাকিস্তানের দ্বিতীয় দীর্ঘতম জুটি। ৩৬০ বলের এই জুটিতে সামি ৯ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি। ২৩৮ বলে ৯১ রান করে তিনি ফেরেন টিম সাউদির বলে। জুটিটা ভেঙেছে আজহার আলীর বিদায়ে, যাঁর ৫৮ রান ১৬১ বল খেলে। আজহারকে বোল্ড করে উইকেটের জন্য নিউজিল্যান্ডের দীর্ঘ অপেক্ষার ইতি ঘটান স্যান্টনার। তখন ভাবা যায়নি, জয়ের পথে যাত্রা শুরুও এই উইকেট দিয়েই।

বাবর আজম ফেরেন ১৬ রানে, সরফরাজ ১৯ রানে। ইউনিস খানের দিকে তাকিয়েছিল পাকিস্তান। সাধারণত এ ধরনের পরিস্থিতিতেই সব অভিজ্ঞতা এক করে জ্বলে ওঠেন, কিন্তু আবারও ব্যর্থ পাকিস্তানের অভিজ্ঞতম ব্যাটসম্যান। ব্যর্থ আসাদ শফিকও। তিনি ফিরেছেন শূন্য রানে।

ক্যারিয়ারের প্রথম ৪৯টি ইনিংসের একটিতেও যে ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট হননি, তিনিই কিনা সর্বশেষ ১৩ ইনিংসের ৫টিতেই শূন্য রানে আউট হলেন! মিডল ও লোয়ার অর্ডারের ব্যর্থতায় ৪ উইকেটে ২০৪ রান থেকে পাকিস্তান অলআউট হয়ে যায় ২৩০ রানে।

দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮০ রানে ৬ উইকেট পেয়েছেন টিম সাউদি। এটি টেস্টে তাঁর তৃতীয় সেরা বোলিং। তবে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে সেরা বোলার নিল ওয়াগনার। ৫৭ রানে তিনি পেয়েছেন ৩ উইকেট। মিচেল স্যান্টনার ও টিম সাউদি—দুজনেই নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন ম্যাট হেনরি ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম।
তথ্যসূত্র: ক্রিকইনফো

আপনার মন্তব্য

আলোচিত