সিলেটটুডে স্পোর্টস ডেস্ক

০১ মে, ২০১৫ ০২:২০

ব্যাকফুটে বাংলাদেশ: তবু ম্যাচ বাঁচানোর স্বপ্ন!

মাঠের পারফরম্যান্স যাই হোক না কেন দিনশেষের সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়েরা তিন দিনের তৃতীয় বারের মতো এসে শুনিয়ে গেলেন আশাবাদের কথা। হাতে পাঁচ উইকেট রেখে পাকিস্তান যখন লিড নিয়েছে ২০৫ রানের তখনও স্বপ্ন দেখালেন ম্যাচ বাঁচানোর!

পারবে কী বাংলাদেশ- এমন প্রশ্নের খুব বেশি আশাবাদি হওয়ার লোক পাওয়া না গেলেও বাংলাদেশ দলের অলরাউন্ডার শুভাগত হোম জানালেন- এখনও বাংলাদেশের জন্যে সম্ভব ম্যাচ বাঁচানো! জানালেন- দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের পক্ষে ভালো ব্যাটিং করা অবশ্যই সম্ভব।

আটজন ব্যাটসম্যান খেলোনো প্রসঙ্গে তার মন্তব্য- একাদশে আটজন ব্যাটসম্যান থাকবে না দশজন, এটা টিম ম্যানেজমেন্টের বিষয়। এ নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। আমার কাজ হচ্ছে নিজের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করা।’

চতুর্থ দিনে স্বাগতিকদের লক্ষ্য কী? অভিষিক্ত শুভাগত হোমের- যত দ্রুত সম্ভব পাকিস্তানের ইনিংস শেষ করে দেয়া। এরপর ওরা যত রানেরই লিড নিক না কেন, আমরা চেষ্টা করব সেটি টপকানোর।

খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যকার প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের ৩৩২ রানের জবাবে সফরকারি পাকিস্তান এখনও ব্যাট করছে। তৃতীয় দিন শেষে তারা ৫৩৭/৫। লিড নিয়েছে ২০৫ রানের।

ক্রিজে আছেন দুই হাফ সেঞ্চুরিয়ান আসাদ শফিক ও সরফরাজ আহমেদ। বোঝাই যায়, মিসবাহরা চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে অনিচ্ছুক। তাদের লক্ষ্য থাকবে ইনিংস যতটা প্রলম্বিত করা যায়। ৩০০-র বেশি রানের লিড নিয়ে তবেই দান ছেড়ে দেয়ার পরিকল্পনা থাকতে পারে পাকিস্তানের।

অন্তত এক সেশন ব্যাট করে তবেই ইনিংস ঘোষণা করতে পারেন মিসবাহ। বাংলাদেশের জন্য তাই ম্যাচ বাঁচানোই বড় চ্যালেঞ্জ। এই পটভূমিতে তৃতীয় দিনের খেলা শেষে শুভাগত হোমের বিশ্বাস, ‘এই পরিস্থিতির মধ্যেও ম্যাচ বাঁচানো সম্ভব।’ সেটা কীভাবে?

তার ব্যাখ্যা, ‘আমাদের ব্যাটিং লাইনআপ শক্তিশালী। প্রয়োজন শুধু ভালো কিছু করা। সবাইকে ভালো করতে হবে।’ শুভাগতের কথায়, ‘উইকেটের আচরণ বদলেছে। এতে সুবিধা পাচ্ছে পাকিস্তান। চতুর্থ দিন পিচের আচরণ কেমন হয়, তার ওপর নির্ভর করবে আমাদের অবস্থান।’

বাংলাদেশ দলের সেরা পারফরমার সাকিব আল হাসান বল হাতে চতুর্থ দিনেও কোন উইকেট পাননি ২৬ ওভার হাত ঘুরিয়েও। পাকিস্তানের পক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি হাকানো ব্যাটসম্যান সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বললেন- সাকিবের উইকেটশূন্যতা ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে বাংলাদেশকে। হাফিজ ক্যারিয়ার প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকান, শুভাগত হোমের বলে আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২২৪ রান। 

এদিকে প্রথম দিনশেষে বাংলাদেশের মমিনুল হক বলেছিলেন- এই উইকেটে ব্যাট করা কঠিন এবং ৩০০ রানই যথেষ্ট। মমিনুলের এই কথাগুলোকে মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাট করছে পাকিস্তান।

দ্বিতীয় দিন শেষে সৌম্য সরকার বলেছিলেন- ভালো ব্যাটিং-বোলিং করলে এখনও ম্যাচ জেতা সম্ভব কিন্তু তৃতীয় দিনেও ভালো বল করতে পারেনি বাংলাদেশ।

এদিকে, টেস্ট ম্যাচে যখন পাকিস্তান শাসন করছিল তখন শেষ বিকেলে বাংলাদেশ দলের জন্যে সুখবর এসেছে আইসিসির প্রকাশিত ওয়ানডে র‍্যাংকিংয়ে পাকিস্তানকে টপকে বাংলাদেশের অস্টম স্থান অর্জন। আইসিসির ক্রম অনুযায়ি বাংলাদেশের স্থান অস্টম এবং পাকিস্তানের নবম।

পারবে কী বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজের সে মধুর স্মৃতিকে স্মরণে রেখে টেস্ট ক্রিকেটেও নিজেদেরকে উচ্চে তুলে ধরতে? প্রশ্নের জবাব মাঠে, মাঠে এবং মাঠেই!

আপনার মন্তব্য

আলোচিত