স্পোর্টস ডেস্ক

১০ মে, ২০১৭ ১৭:২০

অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফরের নিশ্চয়তা সাদারল্যান্ডের

অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফর নিয়ে সমূহ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দূর করে দিলেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড। তিনি জানিয়েছেন, ‘এই সফর মোটামুটি চূড়ান্তই হয়ে আছে। কেবল নিরাপত্তা বিষয়ক ব্যবস্থাপনা ও সময়সূচি নির্ধারণই বাকি।’

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটকে সাদারল্যান্ড বলেছেন, ‘আমরা খুঁটিনাটি সব বিষয় নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আমি খুবই আনন্দিত যে আমরা এমন একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে যেখান থেকে কেবল ছোটখাটো বিষয়ই চূড়ান্ত করা বাকি।’

বাংলাদেশের নিরাপত্তা-ব্যবস্থা নিয়েও অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করেছে সিএ।

সাদারল্যান্ড বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশের নিরাপত্তা-ব্যবস্থার ওপর অস্ট্রেলীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে কাজ করেছি। এখনো পর্যন্ত আমাদের যে অভিজ্ঞতা, তাতে আমরা এই সফর যথা সময়ে হওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। এখনো পর্যন্ত নিরাপত্তা বিষয়ক কিছু ব্যাপার চূড়ান্ত করা বাকি। যখনই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড নিরাপত্তা বিষয়ক ব্যাপার-স্যাপার ও সূচি চূড়ান্ত করবে, আমাদের তরফ থেকেও সফরের চূড়ান্ত আয়োজন শুরু হবে।’

অস্ট্রেলিয়ার এই সফর ২০১৫ সালের অক্টোবরেই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সে সময় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে সফর স্থগিত করে সিএ। ২০১৬ সালের শুরুতে বাংলাদেশে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও অস্ট্রেলিয়া দল পাঠায়নি নিরাপত্তা-ইস্যুতেই। গত বছর অক্টোবরে নিরাপত্তা-ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্ট হয়েই তিন ওয়ানডে ও দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। ইংলিশ ক্রিকেট দলের সফরের সময় সিএ নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছিল।

আগস্টের শেষে এই সফরে দুটি টেস্ট খেলার কথা অস্ট্রেলিয়ার। মাঝখানে অস্ট্রেলিয়া টেস্ট না খেলে একটি ওয়ানডে সিরিজ খেলার প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে বাংলাদেশ তাতে রাজি হয়নি।

২০০৬ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। সিরিজের প্রথম টেস্টে ফতুল্লায় বাংলাদেশ দুর্দান্ত খেলেছিল।

২০১১ সালে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে আবার বাংলাদেশে আসে অস্ট্রেলিয়া। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। ২০০৮ সালের দ্বিতীয় সফরটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল কেবল ওয়ানডে সিরিজ। বাংলাদেশের অস্ট্রেলিয়া সফরে খেলাগুলো হয়েছিল ডারউইন ও কেয়ার্নসের মতো অপ্রচলিত ভেন্যুতে। টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই সবচেয়ে কম (৪টি) টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত