ক্রীড়া প্রতিবেদক

১৪ জুন, ২০১৭ ২২:৫৭

অলরাউন্ড নৈপূণ্যে ফাইনালে পাকিস্তান

স্বাগতিকদের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ভেস্তে দিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে উঠে গেছে পাকিস্তান। ইংলিশদের দেওয়া ২১২ রানের টার্গেটে ৭৭ বল এবং ৮ উইকেট হাতে রেখেই পৌঁছে যায় সরফরাজ খানের দল। আগামীকাল দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত। তাই এখনই বলে দেয়া যায়, এবারও ট্রফিটা থাকছে এশিয়াতেই।

২১২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১১৮ রানের জুটি গড়েন দুই ওপেনার ফখর আজম এবং আজহার আলী। ৫৮ বলে ৫৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে আদিল রশিদের বলে আউট হন ফখর। এরপর আজহার আলীও ৭৬ রান করে বোল্ড হয়ে যান। ততক্ষণে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে ১৭৩ রান করা পাকিস্তান।

দ্বিতীয় উইকেটে গড়ে ওঠে ৫৫ রানের কার্যকর জুটি, যা পাকিস্তানকে নিয়ে যায় জয়ের কাছাকাছি। এরপর তৃতীয় উইকেটে মোহাম্মদ হাফিজ (৩৮) এবং বাবর আজমের (১৩) অবিচ্ছিন্ন ৪২ রানের জুটিতে ৩৭.১ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা কিছুটা ভালো ব্যাট করলেও একেবারে ব্যর্থ হন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। ১৬২ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারায় ইংলিশরা।

দলীয় ৩৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। রুমান রইসের বলে বাউন্ডারি মারতে গিয়ে টাইমিং গড়বড় করে কাভারে বাবর আজমের হাতে ধরা পড়েন অ্যালেক্স হেলস (১৩)। এরপর ছোট ছোট কিছু জুটি হয়েছে। কিন্তু কোনো জুটিই পঞ্চাশ স্পর্শ করতে পারেনি।

দলীয় ৮০ রানে ওপেনার বেয়ারস্টো ৫৭ বলে ৪৩ রান করে হাসান আলীর শিকার হন। তৃতীয় উইকেটে ৪৮ রানের জুটি গড়ার পর জো রুটকে (৪৬) ফিরিয়ে ইংলিশদের বিপদ বাড়িয়ে দেন শাদাব খান।

পরে অধিনায়ক এউইন মরগ্যান চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যক্তিগত ৩৩ রানেই হাসান আলীর বলে সরফরাজ আহমেদের গ্লাভসবন্দী হন তিনি। জস বাটলার (৪) এবং মঈন আলীও (১১) বিদায় নেন দ্রুত। দুজনেই শিকার হয়েছেন জুনায়দে খানের।

শেষ পর্যন্ত ৪৯.৫ ওভারে ২১১ রান তুলতেই অলাউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। হাসান আলী ৩টি এবং জুনায়েদ ও রুমান ২টি করে উইকেট নেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত