স্পোর্টস ডেস্ক

১৫ জুন, ২০১৭ ১৯:১২

ভারতকে ২৬৪ রানের মধ্যে বেঁধে রাখতে হবে বোলারদের

এই এজবাস্টনেই গ্রুপপর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে তিনশ পেরিয়ে গিয়েছিল ভারত। সেখানে তাদের সামনে মাত্র ২৬৫ রানের লক্ষ্য দিতে পারল বাংলাদেশ। কোহলি-ধাওয়ানদের অগুনমুখো ব্যাটিংয়ের সামনে বোলারদের কাজটা তাই একটু কঠিনই হয়ে গেল।

তবে বোলিংয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারলে এই রানেও ইতিহাস গড়া সম্ভব। সেজন্য ভারতীয় ইনিংসের শুরুর দিকেই আঘাত হানতে হবে।

সেমির লড়াইয়ে শুরুর ধাক্কা সামলে যখন বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ, তখনই তালগোল পাকিয়ে ফেলা। তামিমের পর মুশফিক ও সাকিব দ্রুত ফিরে গেলে চাপে পড়ে টাইগাররা। সেখান থেকে আর বেরিয়ে আসতে পারেনি দল।

সৌম্য (০) ও সাব্বিরের (১৯) বিদায়ের পর মুশফিককে নিয়ে ১২৩ রান যোগ করে পথ দেখানোর কাজটা করেছিলেন তামিম। ৭০-এর ঘরে যখন ফিরলেন এই বাঁহাতি, তখনো ভদ্রস্থই দেখাচ্ছিল সংগ্রহটা। কেদার যাদভের বলে বোল্ড হয়ে ফেরা তামিম ৮২ বলের ইনিংসে ৭টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকিয়েছে।

উইকেটে তখন থিঁতু হওয়া মুশফিকের সঙ্গী আগের ম্যাচে শতক করা সাকিব। কিন্তু তামিম ফেরার পর সাকিব (১৫) দ্রুতই সাজঘরে হাঁটা দিলে বড় ধাক্কা খায় টাইগাররা। মুশফিক তাকে অনুসরণ করলে সেটা তালগোলে পরিণত হয়। ফেরার আগে ৬১ রান এসেছে মুশফিকের ব্যাটে। ৪ চারে ৮৫ বলের ধীরস্থির ইনিংস তার।

গত ম্যাচে শতক করা মাহমুদউল্লাহ তখনো ছিলেন, সঙ্গী তরুণ মোসাদ্দেক। কিন্তু দুজনে ৩৪ রানের বেশি যোগ করতে পারেনি। মাহমুদউল্লাহ ২১ রানে সাজঘরে ফেরার আগেই মোসাদ্দেক আউট (১৫)।

এরপরও সংগ্রহটা যে আড়াইশ পেরিয়ে গেল তার কৃতিত্ব মাশরাফির। শেষ পর্যন্ত ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক। ২৫ বলের ইনিংসটি ৫ চারে সাজানো। তার সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৩৫ রানের জুটি গড়া তাসকিন অপরাজিত ১১ রানে।

ভারতের তিন বোলার দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। ভুবনেশ্বর, বুমরাহ ও যাদভ। একটি উইকেট গেছে জাদেজার ঝুলিতে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত