স্পোর্টস ডেস্ক

১৪ অক্টোবর, ২০১৭ ০৪:০৯

‘সমবয়সে মেসির চেয়েও বেশি পেশাদার এমবাপে’

ক্লাব ফুটবলে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর আক্রমণত্রয়ীর অন্যতম কিলিয়ান এমবাপে পিএসজিতে যোগ দিয়ে ফেলে দিয়েছেন হইচই। নেইমার আর এডিনসন কাভানির সঙ্গে যোগ দিয়ে প্রতিপক্ষকে গুড়িয়ে দিচ্ছেন একের পর এক।

মাত্র ১৮ বছর বয়সী এখেলোয়াড়ের সঙ্গে এখনই তুলনা শুরু হয়েছে লিওনেল মেসির। বলা হচ্ছে, সমবয়সে মেসির চেয়েও পেশাদার এমবাপে। লুডোভিক গিউলির প্রশংসা বিশেষভাবেই দাগ কেটে থাকবে এমবাপেকে। প্রতিভা তো আছেই। প্রকৃতি প্রদত্ত এই গুণের বাইরে একজন পেশাদার ফুটবলারের সবচেয়ে বড় গুণ পেশাদারিত্ব। এই বয়সেই সে গুণটি এমবাপের মধ্যে দারুণভাবে পরিলক্ষিত।

সেটি দেখেই বার্সেলোনা ও পিএসজির সাবেক মিডফিল্ডার গিউলির দাবি, কিলিয়ান এমবাপে লিওনেল মেসির চেয়েও বেশি পেশাদার! বলেছেন মেসি ১৮ বছর বয়সে যতটা পেশাদার ছিলেন, এমবাপে তার চেয়েও বেশি পেশাদার।

বার্সেলোনার মূল দলের হয়ে মেসির অভিষেক ২০০৪ সালে। ঠিক ১৮ বছর বয়সে। মেসির সেই অভিষেকের বছরই বার্সেলোনায় যোগ দেন গিউলি।

২০০৪ সালে যোগ দিয়ে সাবেক ফরাসি মিডফিল্ডার কাতালান ক্লাবটিতে মেসির সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে খেলেছেন ৩ বছর। খুব কাছ থেকেই দেখেছেন ১৮ বছর বয়সে মেসি কতটা পেশাদার ছিলেন।

গত বছর পেশাদার ফুটবলকে বিদায় বলে দেওয়া ৪১ বছর বয়সী দেখছেন এমবাপেকেও। গত মৌসুমে মোনাকোর হয়ে দারুণ কাটিয়েছেন এমবাপে। সেই মোনাকো ছেড়ে মাত্রই যোগ দিয়েছেন পিএসজিতে। নতুন এই ক্লাবে যোগ দিয়েই তরুণ এমবাপে মানিয়ে নিয়েছেন নতুন সতীর্থদের সঙ্গে। নেইমার-এডিনসন কাভানির সঙ্গে এরই মধ্যে গড়ে তুলেছেন অসাধারণ আক্রমণ ত্রয়ী। মাঠে তাদের খেলা দেখে মনে হয়, নেইমার-কাভানি যেন তার কত দিনের চেনা!

মেসিকে দেখেছেন। এখন এমবাপেকে দেখছেন। দুই দেখাকে তুলনা করে গিউলি এগিয়ে রাখলেন স্বদেশী এমবাপেকেও।

গোলডটকমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বার্সেলোনা-পিএসজির সাবেক মিডফিল্ডার বলেন, বড় খেলোয়াড় হওয়ার পথে সঠিক প্রক্রিয়াতেই এগোচ্ছেন এমবাপে, ‘কিলিয়ানের সম্ভাবনা দারুণ। আসলে ওর সব কিছুই দুর্দান্ত। সে খুবই পেশাদার। মানসিকভাবেও খুব শক্তিশালী। বেড়ে ওঠার জন্য সে পিএসজিকে বেছে নিয়েছে। এটি খুবই পরিপক্ব সিদ্ধান্ত।’

পিএসজির হয়ে ৩ বছর কাটানো গিউলি এর পরই মেসির সঙ্গে এমবাপের তুলনা করে বলেন, ‘সমবয়সে কিলিয়ান মেসির চেয়েও বেশি  পেশাদার। সে জানে কিভাবে নিজের শরীরটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বেড়ে ওঠার সময়টাতে লিও নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে অনেক বেশি উদ্বিগ্ন ছিল, যা তাকে খুবই জটিল অবস্থার মধ্যে ফেলে দিয়েছিল। অন্যদিকে কিলিয়ান নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খুবই সচেতন এবং সবকিছুই দ্রুত পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম।’

সব মিলিয়ে অন্য আরও অনেকের মতো গিউলিও কিলিয়ান এমবাপের মধ্যে ভবিষ্যৎ বড় তারকার প্রতিচ্ছবিই দেখতে পাচ্ছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত