ক্রীড়া প্রতিবেদক

১৫ অক্টোবর, ২০১৭ ১৮:০২

মুশফিকের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের ২৭৮

ছবি:ক্রিকইনফোডটকম

মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরিতে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭৮ রান করেছে বাংলাদেশ। জিততে হলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে করতে হবে ২৭৯ রান।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এর আগে ১৭টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। তার মধ্যে জিতেছে ৩টিতে। হেরেছে ১৪টিতে। আগের ১৭ ম্যাচের বাংলাদেশের হয়ে কেউ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেনি।

অধরা সেই কাজটি রোববার (১৫ অক্টোবর)  কিম্বার্লিতে করে দেখিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। সেঞ্চুরি করতে তিনি খরচ করেছেন ১০৮টি বল।

এটি মুশফিকের ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি। দুই ছক্কা ও ১০ বাউন্ডারির মাধ্যমে অসাধারণ ইনিংসটি খেলেন মুশফিকুর রহীম। ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক হওয়া মুশফিক এ নিয়ে মোট ১৭৭ ওয়ানডে খেলছেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। শুরু থেকেই সতর্ক ব্যাট করছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন দাস এবং ইমরুল কায়েস। প্রায় দুই বছর পর ওয়ানডেতে খেলতে নামা লিটন প্রথমবার ইমরুল কায়েসের সঙ্গে জুটি বাঁধেন।

ইনিংসের নবম ওভারের পঞ্চম বলে কেগিসো রাবাদার বলে ডু প্লেসিসের তালুবন্দি হন লিটন। ২৯ বলে চারটি বাউন্ডারিতে লিটন করেন ২১ রান।

দলীয় ৪৩ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ৬৭ রানের মাথায় বিদায় নেন ইমরুল কায়েস। ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের বলে ইনিংসের ১৪তম ওভারে ডি ককের তালুবন্দি হন কায়েস। বিদায়ের আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৩ বলে ৩১ রান। তার ইনিংসে ছিল চারটি চার আর একটি ছক্কার মার।

ইনিংসের ২০তম ওভারে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে সাকিব ৫ হাজার ওয়ানডে রান স্পর্শ করেন। তার আগে তামিম ইকবাল এই কীর্তি স্পর্শ করেছিলেন। পাশাপাশি সনাথ জয়সুরিয়া, জ্যাক ক্যালিস, শহীদ আফ্রিদি আর আবদুর রাজ্জাকের মতো সাকিব ৫ হাজার ওয়ানডে রানের সাথে ২০০ উইকেটের পঞ্চম মালিক হন।

ইনিংসের ২৬তম ওভারের শেষ বলে বিদায় নেন সাকিব। দলীয় ১২৬ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরার আগে সাকিব করেন ২৯ রান। ইমরান তাহিরের বলে হাশিম আমলার হাতে ধরা পড়ার আগে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার ৪৫ বল মোকাবেলা করে দেখা পান  দুটি বাউন্ডারির।

তবে সাকিবের বিদায়ের পর নতুন ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের ভালোই জবাব দিচ্ছিলেন মুশফিক। যদিও ২৬ রানে মাহমুদুল্লাহর পর সাব্বিরও।

সাব্বির আউট হওয়ার পর নাসির হোসেন নিয়েই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন মুশফিক। ৪৭.২১ বলে বেরিয়ে এসে কাভার দিয়ে চার মেরেছিলেন রাবাদাকে। পরের বলেই আউট নাসির হোসেন। শর্ট বলে পুল করেছিলেন, জোর পাননি শটে। বৃত্তের ভেতরই সোজা মিড উইকেটে আমলার হাতে ধরা পরে ফিরে যান

এরপর উইকেটে আসেন সাইফ উদ্দিন। শেষ ওভারে রাবাদাকে চার ও ছক্কা মেরে শেষ বলে আউট হলেন সাইফ উদ্দিন। অভিষিক্ত অলরাউন্ডার আউট হয়েছেন ১১ বলে ১৬ রানে।

৫০ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ৭ উইকেটে ২৭৮। শেষ ১০ ওভারে ৭৬ রান।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অবশ্য এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর। এর আগে আড়াইশ ছুঁতে পেরেছিল একবারই। ২০০৭ বিশ্বকাপের সুপার এইটে গায়ানায় তুলেছিল ৮ উইকেটে ২৫১।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৭৮/৭ ইমরুল ৩১, লিটন ২১, সাকিব ২৯ মুশফিক ১১০*, মাহমুদউল্লাহ ২৬, সাব্বির ১৯, নাসির ১১, সাইফ ১৬ অতিরিক্ত ১৫।

উইকেট পতন : ৪৩/১ (লিটন ৮.৫ ওভার), ৬৭/২ (ইমরুল ১৪ ওভার), ১২৬/৩ (সাকিব ২৬ ওভার), ১৯৫/৪ (মাহমুদউল্লাহ ৩৮.১ ওভার), ২৩৭/৫ (সাব্বির ৪৫.২ ওভার), ২৫৩/৬ (নাসির ৪৭.২ ওভার), ২৭৮/৭ (সাইফ ৫০ ওভার) ।

বোলিং: রাবাদা ১০-১-৪৩-৪, প্যাটারসন ৯-০-৬৯-০, তাহির ১০-০-৪৫-১, প্রিটোরিয়াস ১০-০-৪৮-২, ফিকোয়াও ১০-০-৬০-০, ডুমিনি ১-০-৮-০।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত