ক্রীড়া প্রতিবেদক

৩১ জানুয়ারি, ২০১৮ ১৭:৩৮

মুশফিক-মমিনুলের জুটিতে টেস্টের প্রথম দিনে সর্বোচ্চ সংগ্রহ

চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে মমিনুল-মুশফিকের ২৩৬ রানের জুটিতে ভর করে দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩৭৪ রান। টেস্টের প্রথম দিনে বাংলাদেশের নিজেদের সর্বোচ্চ রানও এটি।

ইনিংসের ৮৪তম ওভারের শেষ দুই বলের পরপর মুশফিক ও লিটনের দুই উইকেট না হারালে হয়তো সেঞ্চুরি পেয়ে যেতে পারতেন সদ্য সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুশফিক। শতকের আশা জাগিয়েও ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন তিনি। ১৯২ বলে ৯২ রান করা মুশফিক তাঁর ইনিংস সাজান ১০টি বাউন্ডারি দিয়ে।

মুশফিককে সঙ্গ দেয়া মমিনুল ছিলেন অপর প্রান্তে সাবলীল। প্রায় সাড়ে ৩ বছর তোলে নেন ক্যারিয়ারের ৫ম সেঞ্চুরি। অনেকটা ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করা মমিনুল দিনশেষে অপরাজিত থাকেন ২০৫ বলে ১৭৫ রান করে। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ১টি ছক্কা ও ১৬টি চার। ২০ বলে ৯ রানে ক্রিজে মমিনুলের সাথে অপরাজিত আছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।

এর আগে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন সাকিবের ইনজুরিতে দলের নেতৃত্ব পাওয়া মাহমুদউল্লাহ। ইমরুল দেখেশুনে ব্যাট চালালেও ক্রিজে নেমে দ্রুত রান তুলতে থাকেন আরেক ওপেনার তামিম। লঙ্কান বোলার পেরেরার বলে বোল্ড হওয়ার আগে তামিম করেন ৫৩ বলে ৫২ রান, যার মধ্যে ছিলো ১টি ছক্কা ও ৬টি চারের মার।

মধ্যাহ্ন বিরতির ঠিক আগের বলে বিদায় নেন ইমরুলও। ‘চায়নাম্যান’ লক্ষ্মণ সানদাকানের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ইমরুল করেন ৪০ রান। তার আউটের সঙ্গে সঙ্গেই মধ্যাহ্ন বিরতির ঘোষণা দেন আম্পায়ার।

মধ্যাহ্ন বিরতির পর মমিনুলের সঙ্গী হন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। এরপর আর কোন বিপদ ঘটতে দেননি এই দুই ব্যাটসম্যান। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করে মাত্র ৯৬ বলে নিজের শতক তুলে নেন মমিনুল। চট্টগ্রামে এটি তাঁর ৪র্থ শতক। বাংলাদেশের বাংলাদেশি কোনো ব্যাটসম্যানের দ্বিতীয় দ্রুতগতির শতরানও এটি। এর আগে লর্ডসে তামিম ৯৪ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন।

উল্লেখ্য, টেস্টের শুরুর দিনে এতোদিন বাংলাদেশের সেরা ছিল ২০১২ সালে, খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ৩৬৫ রান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত