০৫ মার্চ, ২০২০ ১৮:১৬
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শেষে ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব পুর্নবিবেচনা করা হবে, জানিয়েছিল বিসিবি। তার আগেই নেতৃত্ব ছেড়ে দিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলতি ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচই অধিনায়ক হিসেবে তার শেষ ম্যাচ।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কনফারেন্স হলে বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) দুপুরে ম্যাচ পূর্ববর্তী নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই নিজে থেকে এই ঘোষণা দেন মাশরাফি। এ নিয়ে টানা ৬ বছর (সবচেয়ে বেশি সময়) টাইগারদের নেতৃত্বের ইতি ঘটাচ্ছেন মাশরাফি। তবে এখনই অবসর নিচ্ছেন না তিনি। খেলা চালিয়ে যাবেন ম্যাশ। খেলোয়াড় হিসেবে জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে ২০১০ সালে ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম আত্মপ্রকাশ করেন মাশরাফি। তবে লম্বা ইনজুরির কারণে দল থেকে ছিটকে যাওয়ায় অধিনায়কত্ব হারান তিনি। এরপর ফের পুরোদমে টাইগারদের দায়িত্ব বুঝে নেন ডানহাতি পেসার। এ সময়ের মধ্যেই ইতিহাস গড়ে ফেলেছেন মাশরাফি। তার ছোঁয়ায় বদলে গেছে বাংলাদেশ। দেশ-বিদেশে জিততে শিখেছে তারা। ওয়ানডেতে দেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক তিনিই।
কাল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের আগে হয়তো এখনই আলোচনা চলছে, তিন সংস্করণে অধিনায়ক মাশরাফির শেষ ম্যাচ নিয়ে। হয়তো অধিনায়ক মাশরাফির সাফল্য ব্যর্থতা নিয়েও ঝড় উঠেছে চায়ের কাপে। আসুন জেনে নেই এসব পরিসংখ্যান:
তিন সংস্করণে অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির শেষ ম্যাচ:
টেস্ট
১৩ জুলাই ২০০৯,
ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশ ৯৫ রানে জয়ী
টি-টোয়েন্টি
৬ এপ্রিল ২০১৭, শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশ ৪৫ রানে জয়ী
ওয়ানডে
৬ মার্চ ২০২০, জিম্বাবুয়ে
অধিনায়ক মাশরাফির পরিসংখ্যান:
টেস্ট (বোলিং ও ব্যাটিং)
ম্যাচ ১
উইকেট ০
ব্যাটিং ৩৯
টি–টোয়েন্টি (বোলিং ও ব্যাটিং)
ম্যাচ ২৮
উইকেট ২০
সেরা বোলিং ২/১২
ইনিংস (ব্যাটিং) ১৯
রান ১৩২
সেরা ২২
ওয়ানডে (বোলিং ও ব্যাটিং)
ইনিংস ৮৭
উইকেট ১০১
সেরা বোলিং ৪/২৯
ইনিংস (ব্যাটিং) ৫৮
রান ৫৭৮
সেরা ৪৪
অধিনায়ক মাশরাফি:
টেস্ট: ম্যাচ ১
জয় ১
হার ১
ওয়ানডে*:
ম্যাচ ৮৭
জয় ৪৯
হার ৩৬
টি-টোয়েন্টি:
ম্যাচ ২৮
জয় ১০
হার ১৭
এছাড়া মাশরাফির অধিনায়কত্বে দুটি বিশ্বকাপ খেলে বাংলাদেশ। টাইগার কাপ্তান হিসেবে যা প্রথম। তার অধীনে প্রথমবার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল (২০১৫) খেলে তারা। পাশাপাশি ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেন লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। তবে ২০১৯ বিশ্বকাপে মাত্র তিনটি ম্যাচ জেতে ম্যাশ বাহিনী।
বাংলাদেশের ক্রিকেটকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। তার নেতৃত্বেই ক্রিকেট পরাশক্তি ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়েকে ওডিআই সিরিজ হারান টাইগাররা। দলীয় সর্বোচ্চ রানের স্কোর গড়েন তারা। নড়াইল এক্সপ্রেসের নেতৃত্বেই প্রথম বহুজাতিক টুর্নামেন্ট জেতে বাংলাদেশ।
আপনার মন্তব্য