০৬ মার্চ, ২০২০ ২০:৪৬
গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেট। প্রতিটি বলে অনিশ্চয়তার অদ্ভুত এক রোমাঞ্চ যেন ঘিরে থাকে এই খেলায়। অন্য ভাবে বলতে গেলে ক্রিকেট হচ্ছে রেকর্ড ভাঙ্গা আর গড়ার খেলা। যার ধারাবাহিকতায় প্রতিনিয়ত তৈরী হয় নতুন রেকর্ড, তৈরী হয় নতুন ইতিহাস। যতবার ক্রিকেট তার অনিশ্চিত সৌন্দর্যের রোমাঞ্চকর পসরা সাজিয়েছে ততবারই খেলাটাতে লেগেছে অন্যমাত্রা, ভিন্ন রঙ।
এমনি একদিন আজ শুক্রবার। এদিন সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি রেকর্ডের মুখ দেখেছে। যার মধ্যে মাত্র ১৭ বার দেড়শ’বা তার বেশি রানের জুটি গড়তে পেরেছে বাংলাদেশ। অথচ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেটে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশ ওপেনিং জুটিতে গড়েছে রেকর্ড ২৯২ রানের জুটি।
লিটন-তামিমের এই জুটি নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের ওপেনিং জুটি। এর আগে ১৯৯৯ সালে শাহরিয়ার হোসাইন ও মেহরাব হোসেন গড়েন ১৭০ রানের জুটি। এছাড়া তামিম-লিটন গড়েছেন দেশের ইতিহাসে যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি। ২০১৭ সালে পঞ্চম উইকেটে সাকিব-মাহমুদুল্লাহর গড়া ২২৪ রানের জুটি ভেঙেছেন তারা।
ওপেনিংয়ে তামিম-লিটনের এই জুটি ওপেনিংয়ে সর্বকালের তৃতীয় সেরা জুটির রেকর্ড। আর অল্প কটা রান করতে পারলেই তারা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটির রেকর্ড গড়ে ফেলতেন। ওপেনিংয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটি শাই হোপ এবং ক্যাম্পবেলের। তারা আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তুলেছিলেন ৩৬৫ রান। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইমাম উল ও ফকর জামানের ৩০৪ রান। লিটন-তামিম ভেঙেছেন জয়সুরিয়া-থারাঙ্গা, ওয়ার্নার-হেডের মতো ক্রিকেটারের রেকর্ড। পেছনে ফেলেছেন ওয়ার্নার-ফিঞ্চ, গাঙ্গুলি-শচীনদের মতো সেরা ওপেনিং জুটির রেকর্ড।
নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে একই ইনিংসে মাত্র চতুর্থবারের মতো দুই ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি দেখল বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে তামিম (১৩২) এবং মুশফিক (১০৬) জোড়া সেঞ্চুরি দেখান। ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিব (১১৪) এবং মাহমুদুল্লাহ (১০২) একই ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন। ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইমরুল কায়েস (১১৫) এবং সৌম্য সরকার (১১৭) জোড়া সেঞ্চুরির এই কীর্তি গড়েনে। এবার তামিম (১২৮) এবং লিটন দাস (১৭৬) নিজেদের নাম তুললেন তাদের পাশে।
আপনার মন্তব্য