নিজস্ব প্রতিবেদক

১২ ডিসেম্বর, ২০২০ ২২:৪৪

মৌলবাদী শক্তিকে প্রতিরোধের প্রত্যয় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন উপজেলায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতিবাদ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর ও অবমাননার প্রতিবাদে সারা দেশের ন্যায় সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আজ শনিবার সমাবেশ, র‌্যালি, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন। ‘জাতির পিতার সম্মান রাখবো মোরা অম্লান’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে তারা এসব কর্মসূচি পালন করেছেন।

কর্মসূচি থেকে ভাস্কর্য ভাঙচুর ও অবমাননার তীব্র প্রতিবাদ, নিন্দা ও ঘৃণা জানানোর পাশাপাশি মৌলবাদী শক্তিকে প্রতিরোধের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বড়লেখা : ‘জাতির পিতার সম্মান রাখবো মোরা অম্লান’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করেছেন। সকাল ১১টায় সরকারি কর্মকর্তা ফোরামের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে প্রতিবাদ সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. রত্নদ্বীপ বিশ্বাস।

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাওলাদার আজিজুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নুসরাত লায়লা নীরা।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সর্দার, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিজ মিঞা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যানবিদ সুমন দাস, শিক্ষক বদরুল ইসলাম, অঞ্জনা রানী দে প্রমুখ। সভা শেষে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করেন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

সভায় বক্তরা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোনো একক ব্যক্তি, গোষ্ঠি, সম্প্রদায় ও দলের নন, তিনি সমগ্র দেশ ও জাতির। তিনি সকল রাজনৈতিক দলের উর্ধ্বে। তাই তাকে নিয়ে বিরোধিতা করা রাস্ট্রদ্রোহিতার শামিল। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে অনাহুত বিতর্ক সৃষ্টি বর্তমানে দেশে চলমান উন্নয়নের ধারাকে ব্যাহত করারই চক্রান্ত। যারা এটা করছে তারা ৭১-এর পরাজিত শক্তি। ৭১-এর পরাজিত শক্তির মদদে মৌলবাদী শক্তিরা এসব করছে। এই শক্তিকে প্রতিহত করা হবে। আইনের আওতায় এনে তাদের বিচার করতে হবে।’

কমলগঞ্জ : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে ও জাতির পিতার মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখর দাবিতে প্রতিবাদ সভা করেছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। সকাল সাড়ে ১১ টায় ‘জাতির পিতার সম্মান, রাখবো মোরা অম্লান’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সভা হয়।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশেকুল হকের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. ফজলুল কবীর।

এ সময় কমলগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন চৌধুরী, কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম তালুকদার, প্রাণীসম্পাদক কর্মকর্তা ডা: হেদায়েত উল্ল্যাহ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: এম মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুন্নাহার পারভীনসহ উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, ‘স্বাধীনতার মহান স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বাংলাদেশের পরিচয়ের ঐতিহাসিক বন্ধন। জাতির পিতার সম্মানের অবমাননাকারীরা কখনো বাংলাদেশের মঙ্গল চায় না। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী কোটি কোটি মানুষ তা মেনে নিবেন না। যতদিন পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ থাকবে ততদিন জাতির পিতার অবদান চিরঅম্লান হয়ে থাকবে। কোনো ভাবেই জাতির পিতার কোন ধরনের অবমাননা সহ্য করা হবে না।’

বক্তারা আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কোনো দলের নয়, তিনি দলমত, শ্রেণি-পেশা, ধর্ম-বর্ণ সবকিছুর উর্ধ্বে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী, নিঃস্বার্থ ও সাহসী নেতৃত্বেও ফসল আজকের এই স্বাধীন বাংলাদেশ। এই স্বাধীন দেশে দাঁড়িয়ে, স্বাধীন ভূখন্ডের উপর দাঁড়িয়ে জাতির পিতার প্রতি অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়া, কার্যকারিতা পরিচালনা কোনোভাবেই করতে পারবেন না। যদি করার চেষ্টা করেন, তাহলে নিজেই নিজের কাছে দ্বিচারিণী হবেন, অসম্মানিত হবেন। যারা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করে না, স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করেনা, আপনারা তাদেরকে বয়কট করুন, বিতাড়িত করুন।’

জৈন্তাপুর : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে জৈন্তাপুরে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহনে প্রতিবাদ সভা হয়েছে।

এতে সভাপতিত্ব করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভিন। শনিবার উপজেলা পরিষদ হলরুমে এই সভা হয়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুলেমান আহমদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহসীন আলী, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আমিনুল ইসলাম সরকার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারুক হোসাইন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এ.কে আজাদ ভূইয়া, উপজেলা প্রকৌশলী রমেন্দ্র হোম চৌধুরী, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল জলিল তালুকদার, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আজিজুল হক খোকন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী রাসেল ভূইয়া, সহকারী প্রোগ্রামার অহিদুজ্জামান, উপ সহকারী প্রকৌশলী এ.জেড এম তানভির, গৌতুম চন্দ্র সূত্র ধর, কৃষি বিভাগের সমর মোহন ধর, শহিদুল ইসলাম, ইসমাইল আলী প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হত না। যে মহান ব্যাক্তি নিজের জীবন দিয়ে আমাদের এই মাতৃভূমিকে স্বাধীন করে দিয়েছিলেন, সেই মহা বীরের প্রতি অসম্মান কোনো জাতিই মেনে নিতে পারে না। কেউ চাইলেও ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে পারবে না। আমরা আজ যে বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করছি, তা জাতি হিসেবে আমাদের জন্যেও এটা একটা কলংক। কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের উপযুক্ত প্রতিশোধ নিতে না পারলে ভবিষ্যতে আমাদেরকে চরমভাবে মূল্য দিতে হবে। যে দুস্কৃতিকারীরা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বাংলাদেশে থাকার কোন অধিকারই নেই।’

জগন্নাথপুর : ‘জাতির পিতার সম্মান, রাখবো মোরা অম্লান‘ স্লোগানকে অঙ্গীকার করে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর ও অবমাননার প্রতিবাদ জানিয়েছেন জগন্নাথপুর উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ।

সকালে জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মাধ্যে বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইয়াসির আরাফাত, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মধুসুদন ধর, অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জয়নাল আবেদীন, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ গোলাম সারোয়ার, উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ মুজিবুর রহমান, উপজেলা সমাজসেবা অফিসের ইউনিয়ন সমাজকর্মী সুব্রত তালুকদার প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দেশ, কালের বেড়াজাল পেরিয়ে বিশ্বজনীন মুক্তির প্রতীক। তাঁর সম্মান রক্ষার দায়িত্ব ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে পুরো জাতির। বিভ্রান্ত হয়ে যারা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি বঙ্গবন্ধুর অবমাননা করছে, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির প্রাক্কালে উগ্রতা ও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের এমন অন্যায় আস্ফালন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।’

এছাড়া জাতির পিতার সম্মানহানির সঙ্গে জড়িতদের সামাজিকভাবে প্রতিরোধের আহ্বান এবং এ ধরণের রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের হোতাদের সম্মিলিতভাবে প্রতিহতের প্রতিজ্ঞা করেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ।

চুনারুঘাট : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে সারা দেশের ন্যায় হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে নানা কর্মসূচি পালন করেছেন সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।

শনিবার সকাল ১০ টায় চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সত্যজিত রায় দাশের সভাপতিত্বে উক্ত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদির লস্কর।

বক্তব্য রাখেন মেয়র নাজিম উদ্দিন সামছু, চুনারুঘাটের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিল্টন চন্দ্র পাল, উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা খাতুন, ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন প্রমূখ।

প্রতিবাদ সভা শেষে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চুনারুঘাট উপজেলা গেট প্রঙ্গণে এক মানববন্ধনের আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন।

দিরাই : ‘জাতির পিতার সম্মান রাখবো মোরা অম্লান’ এই শ্লোগানে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে ও জাতির পিতার সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখার প্রত্যয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার সকাল ১০টায় উপজেলার পরিষদের সম্মেলন কক্ষে উপজেলার সর্বস্তরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সফি উল্লাহর সভাপতিত্বে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমানের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোহন চৌধুরী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কামরুল ইসলাম, দিরাই সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাফর ইকবাল, দিরাই অনলাইন প্রেসক্লাব সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সর্দার প্রমুখ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা শরীফুল আলম। প্রতিবাদ সমাবেশে উপজেলার সকল সরকারি সকল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

তাহিরপুর : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে ও জাতির জনকের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখর দাবিতে প্রতিবাদ সভা করেছে।

শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলা বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এই সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বাংলাদেশের পরিচয়ের ঐতিহাসিক বন্ধন। জাতির পিতার সম্মানের অবমাননাকারীরা কখনো বাংলাদেশের মঙ্গল চায় না। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী কোটি কোটি মানুষ তা মেনে নিবেন না। যতদিন পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ থাকবে তত দিন জাতির জনকের অবদান চিরঅম্লান হয়ে থাকবে। কোন ভাবেই জাতির জনকের কোন ধরনের অবমাননা সহ্য করা হবে না।’

এ সময় তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান উদ দোলা, উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ইকবাল কবির, তাহিরপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন, উপজেলা মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রমাকান্ত, খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য সহকারী দিবাকর সরকার নান্টু, রজব আলীসহ উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে প্রতিরোধ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত