বড়লেখা প্রতিনিধি

১৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৯:১১

ফেসবুকে মিথ্যা ভিডিও প্রচার : ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে চিকিৎসকদের আন্দোলন স্থগিত

মৌলভীবাজারের বড়লেখা

ফেসবুক লাইভে এক রোগির স্বজন মিথ্যা ও বানোয়াট ভিডিও প্রচার করেন। এছাড়া ওই স্বজন হাসপাতালের নারী চিকিৎসক ও নার্সদের সাথে অশালীন আচরণ করেন। এমন ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার সকালে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা আন্দোলনের ডাক দেন। খবর পেয়ে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা হাসপাতালে যান।

এরপর তারা ভুল তথ্য প্রদানকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ^াস দিলে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা আন্দোলন স্থগিত করেন। ঘটনাটি মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জনৈক নাজমুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন নারী রোগীকে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা তাৎক্ষণিক ওই রোগীর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন ও কাউন্সিলিং করেন। এরপরও নাজমুল ইসলাম ফেইসবুক লাইভে নারী চিকিৎসক ও নার্সদের সাথে অশালীন আচরণসহ মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে তা বিভিন্ন পোর্টালে ভাইরাল হয়। মিথ্যা অভিযোগের ভিডিও ভাইরালে দেশে-বিদেশে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, চিকিৎসক, নার্সসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তথা স্বাস্থ্য বিভাগের বিরুদ্ধে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। হাসপাতাল, চিকিৎসক ও নার্সদের সুনাম ক্ষুন্ন করার প্রতিবাদে সংশ্লিষ্টরা কর্মবিরতিসহ নানা কর্মসূচির ডাক দেন। খবর পেয়ে বড়লেখা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান হাসপাতালে যান। ২ দিনের মধ্যে ঘটনাকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে তারা কর্মসুচি স্থগিত করেন। এরপর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক-নার্সদের সাথে সভায় ঘটনার তীব্্র নিন্দা জানান উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও।

এসময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রত্নদীপ বিশ্বাস, আরএমও ডা. শারমিন আক্তার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. উবায়েদ উল্লাহ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রত্নদীপ বিশ্বাস জানান, জনৈক নাজমুল ইসলাম ফেইসবুক লাইভে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে ভিডিও ভাইরাল করেছেন। এতে হাসপাতাল ও চিকিৎসক-নার্সদের মারাত্মক সম্মানহানী হয়েছে। চিকিৎসক ছিলেন না এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। চিকিৎসক ওই নারী রোগীকে (নাজমুলের রোগী) দেখতে চেয়ার থেকে উঠে যাওয়ার ১ মিনিটেরও কম সময়ে তিনি চেয়ার খালি দেখিয়ে ভিডিও করেছেন। ওই রাতের প্রকৃত ঘটনা হাসপাতালের সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড রয়েছে। এই ঘটনায় হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ায় ন্যায় বিচারের দাবিতে তারা আন্দোলনের ডাক দেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত