নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:৪৪

এবার হাকালুুকিতে এসেছে ৫৬ প্রজাতির পাখি ও বাইক্কাবিলে ৩৮ প্রজাতির


দেশের বৃহত্তম হাওর হাকালুকিতে এবছর ৫৬ প্রজাতির ৩৪ হাজার ২৬৪টি জলচর পাখির দেখা মিলেছে। এছাড়া শ্রীমঙ্গলের বাইক্কা বিলে রয়েছে ৩৮ প্রজাতির পরিযায়ী ও দেশীয় জলচর পাখি। বাংলাদেশ বার্ডক্লাবের দুই দিনের জলচর পাখি শুমারি শেষে ক্লাবের চেয়ারম্যান ও পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক এ তথ্য জানান।

তিনি আরও জানান, ক্লাবের সদস্যরা ২৫ ও ২৬ জানুয়ারি দুই দিনে হাকালুকি হাওরের ৪২টি বিলে জলচর পাখি গণনা করেন। গত বছর শুমারিকালে এই হাওরে মাত্র ২১ হাজার ৬৩১টি পাখি দেখা যায়। এ হিসেবে এ বছর হাকালুকিতে ১২ হাজার ৬৩৩টি জলচর পাখি বেশি এসেছে।

বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও দেশের খ্যাতিমান পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হকসহ বার্ডক্লাবের সদস্য এবং দেশি-বিদেশি পাখি বিশেষজ্ঞবৃন্দ দুই দিনের এই পাখিশুমারিতে অংশগ্রহণ করেন।
তিনি জানান, এ বছর হাকালুকি হাওরে সবচেয়ে বেশি লেঞ্জা হাঁস দেখা গেছে। সংখ্যার দিক থেকে ৫ হাজার ৩শ।

জানা যায়, পাখি গণনার জন্য পুরো হাকালুকি হাওরকে ৪ ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথম দিন মাইজগাঁও যুধিষ্টিপুর ও বড়লেখার হাল্লা পথে এবং শেষ দিন ঘিলাছড়ার কালনীগড় ও বড়লেখার কাংলী পথে যেসব বিল রয়েছে সেগুলোতে শুমারি করা হয়।

এর আগে ২৪ জানুয়ারি ৬ দিনব্যাপী পাখির পায়ে রিং লাগানো (রিংগিং ক্যাম্প) শেষ হয়েছে। চলতি বছর অতীতের রিং লাগানো ৩০টি পাখি হাকালুকিতে ফিরে এসেছে বলে জানান রিংগিং ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারী পাখি বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে বাইক্কা বিলে শুমারিতে দেখা গেছে, এ বিলে ১৬ প্রজাতির পরিযায়ী পাখি আর ২২ প্রজাতির স্থানীয় দেশীয় জলচর পাখির দেখা মিলেছে। এ বছর বাইক্কাবিল অভয়াশ্রমে পরিযায়ী ও দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মোট ৮ হাজার ৮৩২টি জলচর পাখি গণনা করা হয়েছে।

ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ইকোসিস্টেমস অ্যান্ড লাইভলিহুডস (ক্রেল) রিজিওনাল এর কো-অর্ডিনেটর মাজারুল ইসলাম ইসলাম জাহাঙ্গীর বলেন, ক্রেল এর সিনিয়র কো-ম্যানেজমেন্ট এডভাইজার পল থম্পসন এ বছর ২২-২৩ জানুয়ারী দুইদিন ব্যাপী শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরের বাইক্কাবিলে পাখি গণনা করেন।

পল থম্পসন বলেন, এ বছর বাইক্কবিলে বালি হাঁসের সংখ্যা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেড়েছে। দেশীয় পাখিদের মধ্যে এ বছর বাইক্কবিলে ২০০ বালিহাঁসের দেখা মিলেছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত