১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ২০:১৪
সিলেট নগরের বন্দরবাজারে ব্যবসায়ী এবং সিনএজিচালিত অটোরিকশা চালকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টা থেকে বেলা সোয়া ২টা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে।
এতে উভয়পক্ষের ১৫-২০ জন আহত হয়েছেন এবং ২৫-৩০টি গাড়ি ও ৫টি দোকান ভাঙচুর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বন্দরবাজার এলাকার সিটি সুপার মার্কেটের সামনে রাস্তায় অটোরিকশা পার্কিং ও যাত্রী উঠানো-নামানো নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে মার্কেটের সামনে একটি অটোরিকশা যাত্রী নামিয়ে ভাড়া নিতে গেলে ব্যবসায়ীরা গাড়ি সরাতে বলেন। এসময় ওই অটোচালক ও ব্যবসায়ীদের বাকবিতন্ডা শুরু হলে কয়েকজন অটোচালক জড়ো হয়ে ব্যবসায়ীদের দিকে মারমুখী হন এবং দুপক্ষের মাঝে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার জের ধরে কিছুক্ষণ পর দুপক্ষের মাঝে সংঘর্ষ হয় এবং অটোচালকরা পিছু হটেন। এর কিছুক্ষণ পর ফের তাদের ধাওয়া করে বন্দরবাজার ছাড়া করেন ব্যবসায়ীরা। এসময় অজস্র ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন ব্যবসায়ীরা। এই হাতাহাতি, ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের সময় সিটি মার্কেটের ৫টি দোকান ভাঙচুর করেন অটোচালকরা।
অপরদিকে, ব্যবসায়ীরা প্রাইভেটকার ও অটোরিকশাসহ ২৫-৩০টি ঘড়ি ভাঙচুর করেন। এসময় উভয়পক্ষের ১৫-২০ জন আহত হন।
এদিকে, ঘটনার পর থেকে বন্দরবাজার এলাকা অবরোধ করে রাখেন অটোরিকশাচালকরা।
বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ী ও অটোচলকরা করেছেন পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। ব্যবসায়ীরা বলছেন- তারা দীর্ঘদিন ধরে সিটি মার্কেটের সামনে অটোরিকশা পার্কিং ও যাত্রী উঠানো-নামানো না করতে নিষেধ করছেন। সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষও দিয়েছে এমন নির্দেশনা। কিন্তু কোনো নির্দেশনা না মেনে অটোচালকরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সিটি মার্কেট, সিটি করপোরেশন, কুদরত উল্লাহ মসজিদ মার্কেট ও পোস্ট অফিসের সামনে সড়ক দখল করে পার্কিং করে রাখে, করে যাত্রী উঠা-নামা। বিষয়টি নিয়ে আজও কথা বলতে গেলে অটোচালকরা মারমুখী আচরণ করে এবং সিটি মার্কেটের ৫টি দোকান ভাঙচুর করে।
অপরদিকে অটোচালকরা বলছেন- তারা বিষয়টি নিয়ে সমঝোতা বৈঠক চাচ্ছিলেন। এরই মাঝে ব্যবসায়ীরা তাদের উপর হামলা করেছেন। এর সঠিক জবাব না দেওয়া পর্যন্ত তারা সড়ক অবরোধ করে রাখবেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) শাহরিয়ার আলম (সদর ও প্রশাসন, অতিরিক্ত দায়িত্ব- উত্তর) বলেন- খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে আসি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। এখন দুপক্ষকে নিয়ে পুলিশ বৈঠকে বসবে। জনগণের যাতে কোনো ধরনের ভোগান্তি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবে পুলিশ।
আপনার মন্তব্য