১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:২১
হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার বদরদী ঘোনাপাড়া হাং সাং মুরাদপুর এলাকার মাহমুদ আলী গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকালে তার গর্ভবতী স্ত্রীকে সজোরে লাথি মারলে সে গুরুতর আহত হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় ৬ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পরে মৃতদেহ থানায় নিয়ে আসলে পুলিশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেন।
এদিকে ঘাতক স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে আটককৃত মাহমুদকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। ধৃত মাহমুদ ওই এলাকার মৃত আব্দুল আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাহমুদ আলী প্রায় ১৭ বছর পূর্বে উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে ২ মেয়ে ও ১ ছেলে সন্তান রয়েছে। ইতিমধ্যে মাহমুদ আলী পৌর এলাকার ছালামতপুর গ্রামে আরেকটি বিয়ে করেন। ৯ সেপ্টেম্বর বিকালে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে যায় মাহমুদ। এনিয়ে ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা প্রথম স্ত্রী নিছফা আক্তার ও তার স্বামীর মাহমুদ আলীর মধ্যে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে স্বামী মাহমুদ আলী সজোরে স্ত্রীর পেটে লাথি মারলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
স্থানীয় লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন। সেখানে ৬ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে সোমবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে মৃত্যুবরণ করে। পরে মৃতদেহ থানায় নিয়ে আসলে পুলিশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেন। এ সময় ঘাতক স্বামীকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
থানার ওসি মাসুক আলী বলেন, নিহতের পরিবার কোন মামলা দেয়নি। তবে আটককৃত স্বামী মাহমুদকে ৫৪ ধারায় জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আপনার মন্তব্য