নিজস্ব প্রতিবেদক

০৭ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:৩৬

সিলেটে পটকা মাছ নিয়ে বিশেষ সতর্কতা

পটকা মাছ খেয়ে ৫ জন মারা যাওয়া ও অনেকে অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় পটকা মাছ নিয়ে বিশেষ সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এই সতর্কবার্তা পাঠানো হয়।

সিলেটের সিভিল সার্জন মো. হাবিবুর রহমান জানান, পটকা খেয়ে মারা যাওয়ার খবর পেয়ে মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জৈন্তাপুরসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষ সতর্ক বার্তা পাঠানো হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা পাটকা মাছকে প্রাণঘাতি হিসেবে আখ্যায়িত করলেও সিলেটের বিভিন্ন গ্রাম গঞ্জে প্রকাশ্যেই বিক্রি হয় পটকা। পকটা বিক্রিতে নেই কোনো নিষেধাজ্ঞাও। সিলেটের হাওরবেষ্টিত অঞ্চলগুলোতেই সবচেয়ে বেশি পটকা বিক্রি হয়। অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে পাওয়া যাওয়ায় দরিদ্র জনগোষ্ঠির অনেকেই কিনে নেন পটকা মাছ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পটকা কোনভাবেই খাওয়া উচিত নয়। পটকার মধ্যে "টেকটাডোটক্সিন" নামক এক ধরণের বিষ থাকে। একটি পূর্ণাঙ্গ পটকা মাছের বিষে ৩০ জন মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে। পটকার বিষ সায়ানাইডের চেয়ে ১ হাজার ২০০ গুণ বেশি বিষাক্ত। একটি পূর্ণাঙ্গ পটকা মাছের বিষে ৩০ জন মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে।

এদিকে, পটকা খেয়ে অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রোগীদের জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. এনায়েত হোসেনকে প্রধান করে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

ওসমানী হাসপাতাল সূত্র জানায়, সিলেটের জৈন্তাপুর থেকে পটকা মাছ খেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন শিশু, মহিলা ও পুরুষসহ প্রায় ১৫ জন। হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে। আর মারা যান ৫ জন।

হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. এনায়েত হোসেন বলেন, ‘‘পটকা মাছে টেট্রাটডক্সিন নামে এক ধরনের বিষ থাকে যা কোন ওষুধে উপশম হয় না। এ ধরনের বিষক্রিয়ায় আক্রান্তদের ব্রেনের নার্ভাস সিস্টেম দুর্বল করে দেয়। শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে দ্রুত মারা যায় রোগীরা।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত