নিজস্ব প্রতিবেদক

০৭ মার্চ, ২০১৮ ০১:৪৬

দক্ষিণ সুরমায় সংঘর্ষে নিহত দুজনই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দিতে মঙ্গলবার সংঘর্ষে দুজন নিহত হন। নিহত দু'জনই সেচ্ছাসেবক লীগের নেতা।

নিহতরা হলেন- বরইকান্দি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি বরইকান্দির মাঝপাড়া গ্রামের মাসুক মিয়া (৫০) ও বরইকান্দি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাবুল মিয়া (৩৫)।

নিহত মাসুক মিয়া সিলেট মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সিলেট সরকারী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস ফারুক আহমদের বড় ভাই।

তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার সকালে এ সংঘর্ষ বাঁধে। এতে আহত হয়েছেন হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। আহতদের মধ্যে সুজেল আহমদ, রুহেল মিয়া, সলিমুদ্দিন, তৈয়ব আলী, আবুল কাহের, নাজিম উদ্দিন, আহমদ হোসেন, তাজুল ইসলাম, ইলিয়াস ও দুলাল আহমদকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজল জানিয়েছেন, এ ঘটনায় এখনো কেউ মামলা করেনি। এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ওসি জানান, সংঘর্ষকালীন সময়ে ব্যবহৃত অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালানো নিয়ে গত সোমবার রাতে বরইকান্দি ১০ নম্বর রোডের দুখির পাড়ার বাসিন্দা কোম্পানীগঞ্জের তেলিখাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ আখলু মিয়ার ছেলের সঙ্গে বরইকান্দি এলাকার ৩ নম্বর রোডের মাঝপাড়া এলাকার বাসিন্দা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গৌছ মিয়ার ছেলের কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে রাতেই আওয়ামী লীগ নেতা গৌছ মিয়া বিপুল সংখ্যক লোকজন নিয়ে দুখিরপাড়ায় আখলু মিয়ার বাড়িতে হামলা করেন। তখন দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। এসময় অন্যান্য এলাকার লোকজন মিলে উভয় পক্ষকে নিবৃত্ত করেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের কথা ছিল।

তবে সকালে কোম্পানীগঞ্জ থেকে চেয়ারম্যান আখলু পক্ষে বিপুল সংখ্যক লোক আসেন বরইকান্দিতে। সকালে তাদেরকে সাথে নিয়ে আখলু চেয়ারম্যান সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগ নেতা গৌছের বাড়িতে এসে হামলা চালান। এসময় দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালিন সময়ে পাল্টাপাল্টি গুলি বিনিময় হয়। ইটপাটকেল নিক্ষেপ হয়। এসময় বরইকান্দি এলাকার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

সংঘর্ষ চলাকালিন সময়ে নিহত মাসুক মিয়া ও বাবুল মিয়া আওয়ামী লীগ নেতা গৌছ মিয়ার পক্ষের লোক। আখলু চেয়ারম্যানের পক্ষের লোকজনের ছোঁড়া গুলিতেই তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন গৌছ মিয়ার পক্ষের লোকজন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত