নিজস্ব প্রতিবেদক

০৯ অক্টোবর, ২০১৮ ০১:৩৭

গভীর রাতে পরিচ্ছন্ন-কর্মীর সাজে মেয়র আরিফ

দ্বিতীয় মেয়াদে সিলেট সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব পেয়েই রাতে পরিচ্ছন্ন-কর্মীর সাজে নগর পরিচ্ছন্নতায় নামলেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

সোমবার (৮ অক্টোবর) বেলা সাড়ে তিনটার দিকে নগর ভবনে আনুষ্ঠানিক ভাবে দায়িত্ব নেন আরিফুল হক চৌধুরী। আর দুপুরে দায়িত্ব নেয়া মেয়র মধ্যরাতে  নগরী পরিষ্কারে রাস্তায় নেমে পড়েন পরিচ্ছন্ন-কর্মীর সাজে। এসময় তিনি ফুটপাতের ওপরে দখলদারদের রাখা অবৈধ সরঞ্জামাদি ও ত্রিপল অপসারণ করেন।

দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর সোমবার দুপুরেই মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, নগরবাসীকে ইশতেহারের মাধ্যমে দেওয়া পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বিগত সময়ে হাতে নেয়া কাজগুলো এবার সমাপ্ত করবো।

আর নিজের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘ক্লিন সিলেট’ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনে জয়লাভের পর প্রথম প্রয়োজনীয় কাজ হিসেবে তিনি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাকেই বেছে নিয়ে সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে তিনি নগরী পরিষ্কারে অভিযানে নামেন।

এ পরিচ্ছন্নতা অভিযান তিনি নগরীর নাইওরপুল পয়েন্ট থেকে শুরু বন্দর বাজারে এসে শেষ করেন। এসময় মেয়রের নেতৃত্বে চলা এ অভিযানে তিনি নিজে হাতে ভেঙ্গে দেন নগরীর রাস্তায় ও ফুটপাতে অবৈধ ভাবে বসানো সকল দোকানপাট। এছাড়াও দোকানের সামনে টাঙানো রাস্তার উপরে চলে আসা সব সামিয়ানা খুলে ফেলা হয়। ভেঙে ফেলা হয় অবৈধভাবে বানানো সব টং দোকান।

এসময় পরিচ্ছন্নতা বিভাগের প্রধান হানিফুর রহমান, গণসংযোগ কর্মকর্তা শাহাব উদ্দিন শিহাব ও পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মীরা তার সঙ্গে ছিলেন।

এসময় মেয়র আরিফ বলেন, সিলেট নগরবাসীকে একটা পরিচ্ছন্ন নগর উপহার দেওয়া আমার লক্ষ্য। নগরবাসী যাতে নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে এ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

নগরের একজন সেবক হিসেবে আমিও সেই পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের একজন, আমি আমার সাধ্যমত সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাব, জানান দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পাওয়া আরিফুল হক চৌধুরী।

উল্লেখ্য, গত ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন আরিফুল হক চৌধুরী। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল ২০১৩ সালের ১৫ জুন প্রথম মেয়র পদে নির্বাচন করেন। একটানা প্রায় ১৮ বছর মেয়রের দায়িত্ব পালন করা নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরানকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন। গত ৩০ জুলাইয়ের নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে আরিফুল হক আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামরানকে আবারও পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন।

এরআগের মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার এক বছরের মাথায় সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ওপর গ্রেনেড হামলার মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি হয়ে ২৯ মাস কারাবন্দি ছিলেন। এ জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে দুই দফায় বরখাস্ত হয়েছিলেন। জামিনে মুক্ত হলে উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় আরিফুল হক আবার মেয়র পদে আসীন হয়েছিলেন।

আরিফুল হক চৌধুরী গত ৫ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ গ্রহণের পর ৮ সেপ্টেম্বর সপরিবারে লন্ডনে চলে যান। সেখানে তিনি প্রায় ২৩ দিন অবস্থানের পর গত ২৭ সেপ্টেম্বর সিলেটে ফেরেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত