সিলেটটুডে ডেস্ক

৩০ জানুয়ারি, ২০২০ ১৬:২৭

হবিগঞ্জে লক্ষ্মীপেঁচা উদ্ধার: বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর

হবিগঞ্জ শহরে বিরল প্রজাতির একটি লক্ষ্মীপেঁচা উদ্ধার করা হয়েছে। পরে এটিকে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর তত্ত্বাবধানে বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বৃহস্পতিবার  (৩০ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় এশিয়ান টেলিভিশনের হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি এস এম সুরুজ আলীর কাছ থেকে খবর পেয়ে বাপা হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল লক্ষ্মীপেঁচাটি উদ্ধার করেন।

‘পরিবর্তনের ধারা আলোর পথ’ সামাজিক সংগঠনের সভাপতি আবুল কাসেম দিদার বাপা সেক্রেটারিকে জানান, কয়েকজন শিশু-কিশোর পেঁচাটিকে ইট পাটকেল দিয়ে ধাওয়া করছিল। কিছুদিন আগে বাপা এর মাধ্যমে একই রকম একটি পেঁচা বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করার সংবাদ খবরের কাগজে তিনি পড়েছেন, তাই পেঁচাটিকে নিরাপদে রেখে ‘বাপা’ এর সহযোগিতা কামনা করেন।
 
বাপা’র পক্ষ থেকে বনবিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করলে দুপুর ১ টার দিকে বন বিভাগের একটি প্রতিনিধিদল শহরের শ্যামিলী এলাকায় তোফাজ্জল সোহেল এর কাছ থেকে পেঁচাটি গ্রহণ করেন।

বন বিভাগের পক্ষ থেকে এসময় উপস্থিত ছিলেন, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ হবিগঞ্জের ফরেস্টার তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী, জুনিয়র ওয়াইল লাইফ স্কাউট মোহাম্মদ সহিদ উদ্দিন, অফিস সহকারী তাপস ভর, ড্রিমস এনিমেল রেস্কিউ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ইফতেখার হোসেন, তাহসিন বিলওয়াল আরিয়ান, তালহা হোসেন, নুজহাত নুয়েরী রুদাবা ও  তাবাসসুন জাহান আরিদা।

তোফাজ্জল সোহেল বলেন, পেঁচা পরিবেশবান্ধব পাখি। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে এই পাখির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। লোক সম্মুখে খুব একটা বিচরণ পেঁচার নেই। গাছের উঁচু ডাল, পরিত্যক্ত বাড়ি, গাছের কোটর  অপেক্ষাকৃত অন্ধকার নির্জন পরিবেশে থাকতেই এরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। সাধারণত ছোট ছোট প্রাণী যেমন- ইঁদুর, টিকটিকি, বিভিন্ন ধরণের কীটপতঙ্গ এদের প্রধান খাবার।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত