বড়লেখা প্রতিনিধি

২৪ এপ্রিল, ২০২০ ১৭:১৩

বড়লেখায় ক‌রোনার উপসর্গ নি‌য়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির বাড়ি লকডাউন

পরিবারের চার সদস্যের নমুনা সংগ্রহ

করোনার উপসর্গ নিয়ে সিলেটে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে মারা যাওয়া মৌলভীবাজারের বড়লেখার বাসিন্দা’র (৫০) বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) স্থানীয় প্রশাসন মৃত ব্যক্তির বাড়ি লকডাউন করেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) রাত আটটার দিকে তিনি মারা যান। ওইদিন রাতেই বড়লেখায় তার পারিবারিক কবরস্থানে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে বুকে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ওই ব্যক্তিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। কয়েকদিন আগে থেকে তার জ্বর ছিল। একসময় তিনি মধ্যপ্রাচ্যে ছিলেন। তখন কিডনি ও লাঞ্চে তাঁর সমস্যা হয়েছিল। এ কারণে তিনি আর বিদেশ যাননি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে পাঠানো হয় শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে। সেখানে ভর্তির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি মারা যান।

বিজ্ঞাপন

এদিকে মৃত্যুর পর তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে পরীক্ষার ফলাফল এ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। গত বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক রত্নদ্বীপ বিশ্বাস, বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াছিনুল হকের উপস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করায় শুক্রবার তার বাড়ি লকডাউন করা হয়। তার পরিবারের আরও চারজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক রত্নদ্বীপ বিশ্বাস শুক্রবার বলেন, ‘তিনদিন আগে থেকে তার জ্বর ছিল। গত (বৃহস্পতিবার) বুকে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসেন। এর আগে মধ্যপ্রাচ্যে ছিলেন। কিডনি ও লাঞ্চে সমস্যা হওয়ায় তখন আর বিদেশ যাননি। হার্টে সমস্যা হতে পারে মনে করে ওসমানীতে পাঠানো হয়েছিল। তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এখনো আসেনি। তাদের বাড়িটি গ্রামের অন্য বাড়ির মধ্যে আলাদা। শুধু তাদের বাড়িই আপাতত লকডাউন করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিবারের ৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত