০১ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৪:২৯
ছবি: টাঙ্গুয়া হাওর
দেশের পর্যটনশিল্পকে আরও গতিশীল করে বিশ্ব তোলে ধরার লক্ষ্যে ২০১৬ সালকে ‘পর্যটন বর্ষ’ হিসেবে পালন করার ঘোষণা আগেই করা হয়েছিল
এবার তাই পহেলা জানুয়ারি বছর শুরুতে হতেই শুরু হচ্ছে ‘পর্যটন বর্ষ ২০১৬’। বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে পর্যটনের একটি সম্ভাবনাময় গন্তব্য হিসেবে পরিচিত করে তুলতে সরকার যে মহাপরিকল্পনা নিয়েছে, এর অংশ হিসেবে ‘ভিজিট বাংলাদেশ’ নামে উদযাপিত হবে পর্যটন বর্ষ।
গত ২৭ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ ঐতিহ্য ও পর্যটন সম্মেলনের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেন।
মূলত ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করা হলেও কার্যক্রম চলবে ২০১৮ সাল পর্যন্ত। তিন বছরে সর্বমোট ১০ লাখ বিদেশি পর্যটককে বাংলাদেশে নিয়ে আসা, পর্যটন খাত থেকে ৩০০ মিলিয়ন বা ৩০ কোটি ডলার আয় এবং পর্যটন খাতে নতুন তিন লাখ কর্মক্ষেত্র তৈরি করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সে লক্ষ্যেই কাজ করছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড।
পর্যটন বর্ষের কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে মূলত বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) থেকেই। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ‘মেগা বিচ কার্নিভাল’। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গতকাল সকালে এই কার্নিভালের উদ্বোধন করেন। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের ব্যাপক প্রচার ও প্রসারের উদ্দেশ্য বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, ট্যুরিজম বোর্ড ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই কার্নিভালে থাকছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক আয়োজন, নৃত্য পরিবেশনা, দেশের পর্যটন আকর্ষণগুলোর আলাদা আয়োজন, ঘুড়ি উৎসব, বিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, বিচ ভলিবল, জলকেলি, বিচ ফুটবল, সার্ফিং, স্থানীয় খেলা—বলি খেলা, বালুর ভাস্কর্য, সাইক্লিংসহ নানা আয়োজন।
আপনার মন্তব্য