সিলেটটুডে ডেস্ক

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১০:৩২

কুমিল্লায় বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ

কুমিল্লার লাকসামে যুবদলের সাংগঠনিক কমিটি গঠন ও প্রতিনিধি সভাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ এবং অস্ত্রের মহড়ায় উপজেলা সদরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজারে এই ঘটনা ঘটে।

এ সময় পথচারী ও ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে দোকানপাট বন্ধ করে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। এ নিয়ে লাকসামের থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, যুবদলের সাংগঠনিক কমিটি গঠন ও প্রতিনিধি সভাকে কেন্দ্র করে বিএনপির সাবেক এমপি কর্নেল (অব.) আনোয়ারুল আজিম ও কেন্দ্রীয় শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এ সময় দৌলতগঞ্জ বাজারে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় অনেকের হাতে জয়েন্ট পাইপ, চাইনিজ কুড়াল, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র দেখা যায়। এতে বাজারের ব্যবসায়ী ও পথচারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

তাৎক্ষণিকভাবে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল গিয়ে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

দলীয় একাধিক সূত্র জানা যায়, মঙ্গলবার কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের একটি সাংগঠনিক টিম লাকসামে প্রতিনিধি সভায় অংশগ্রহণ করার কথা জেনে অন্য গ্রুপও তাদের সভায় যোগদানের অনুরোধ করেন। প্রথমে সাংগঠনিক টিমটি পৃথক সভায় উপস্থিত থাকার আশ্বাস দিলেও পরে কর্নেল আজিম গ্রুপের সভায় উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন।

এদিকে দুপুরে জেলা যুবদলের সাংগঠনিক টিমের নেতৃত্বে আবুল কালাম গ্রুপের কার্যালয়ে যুবদলের প্রতিনিধি সভা শুরু হয়।

এ কারণে কর্নেল আজিম গ্রুপের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা দৌলতগঞ্জ বাজারে মিছিল বের করেন। মিছিলটি দৌলতগঞ্জ উত্তর বাজার প্রদক্ষিণকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উত্তর বাজার দলীয় কার্যালয়ের কাছে এবং প্রধান সড়ক চত্বরে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

আবুল কালাম গ্রুপের উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান মানিক জানান, আমাদের কার্যালয়ে যুবদলের প্রতিনিধি সভা চলাকালে অন্য গ্রুপটি মিছিল বের করলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। আমরা আমাদের গ্রুপের কর্মী, সমর্থকদের সংঘাত পরিহার করতে অনুরোধ করলে তারা ফিরে আসে।

কর্নেল আজিম গ্রুপের গোলাম ফারুক জানান, যুবদলের কমিটি নিয়ে জেলা যুবদলের একটি সমন্বয়ক প্রতিনিধি দল লাকসাম আসেন। উভয় গ্রুপের সঙ্গে বসার কথা থাকলেও শেষে আমাদের নিষেধ করে দেন। এতে উত্তেজিত নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করেন। পরে আমাদের লোকজনকে শান্ত করে আমরা নিয়ে আসি।

লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. ফারুক হোসেন জানান, উত্তেজনার খবর শুনে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে ছিল। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত