সিলেটটুডে ডেস্ক

১৮ জুলাই, ২০১৭ ১৬:১৯

গৃহকর্মী নির্যাতন মামলায় গৃহকর্ত্রী নদীর যাবজ্জীবন

মিরপুরের পল্লবীতে নির্মম নির্যাতনের পর শিশু গৃহকর্মী আদুরিকে মুমূর্ষু অবস্থায় ময়লার স্তূপে ফেলে রাখার ঘটনায় গৃহকর্ত্রী নওরীন জাহান নদীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) ঢাকার ৩ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

আসামি নদীকে যাবজ্জীবন কারাদাণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন বিচারক। ওই অর্থ আদায়ের পর তা নির্যাতিত কিশোরী আদুরিকে দিতে হবে। আর জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে আরও এক বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে নদীকে। নদীর মা ইশরাত জাহানও এ মামলার আসামি ছিলেন। অপরাধে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দিয়েছেন বিচারক।

২০১৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকার একটি ডাস্টবিন থেকে ১১ বছর বয়সী আদুরিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ২৬ সেপ্টেম্বর আদুরীর মামা মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী আসামিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা দায়ের করেন।

আদুরির গৃহকর্ত্রী পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনের ২৯/১, সুলতানা প্যালেসের দ্বিতীয় তলার বাসিন্দা নদী আগের দিন ধারালো চাকু দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে, ইস্ত্রি দিয়ে ছ্যাঁকা দিয়ে মারাত্মক জখম করে মেয়েটিকে সেখানে ফেলে রাখেন।

পটুয়াখালী সদর উপজেলার কৌরাখালী গ্রামের প্রয়াত খালেক মৃধার মেয়ে আদুরি এখন পরিবারের সঙ্গেই থাকে। সম্প্রতি পাশের গ্রাম পূর্ব জৈনকাঠীর একটি মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে সে।

আদুরির পরিবারকে এ মামলায় আইনি সহায়তা দেওয়া মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সালমা আলী রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। যদি আদুরির পরিবার চায়, তাহলে তার সারা জীবনের কর্মসংস্থান আমরা করে দেব।”

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম বলেন, “ন্যায়বিচার হয়নি; রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। উচ্চ আদালতে আপিল করব।”

আপনার মন্তব্য

আলোচিত