সিলেটটুডে ডেস্ক

১৮ জুলাই, ২০১৭ ২১:২০

বন্যার প্রচার নিয়ে মিডিয়াকে দুষলেন পানিসম্পদ মন্ত্রী

উত্তরাঞ্চলের বন্যার প্রচার নিয়ে মিডিয়াকে দোষারোপ করেছেন পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘এ বছর মিডিয়া যেভাবে বন্যা বলছে সেভাবে উত্তরাঞ্চলে বন্যা হয়নি।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনারা উত্তরবঙ্গে আমার সাথে চলেন, আমি দেখাবো বাঁধের মধ্যে কোনও বন্যার পানি নেই। টেলিভিশন ও পত্রিকায় যে ছবিগুলো দেখি সেগুলো হচ্ছে বাঁধের বাইরের ও চরাঞ্চলের ছবি। আর ওই জায়গাগুলো আমরা রেখেছি বন্যার পানি ধারণের জন্য। কারণ নদীর পানি যখন বৃদ্ধি পায় তখন পানি একদিকে যেতে হবে। যেতে যদি না দেই তাহলে মাটি নরম হয়ে ভেঙে যাবে। এসব জায়গায় বসতি থাকার কথা না। কিন্তু আমাদের দেশে জনসংখ্যা এত বেশি তাই মানুষ সেখানে গিয়ে ঘরবাড়ি করে থাকে। আর ওই ছবিগুলোই আমরা মিডিয়াতে দেখি।’

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুরে ভোলার ইলিশা-রাজাপুর রক্ষা প্রকল্প পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পদ্মা ব্রিজ, মেট্রোরেল, চারলেন মহাসড়ক এগুলো প্রধানমন্ত্রীর সফলতা না। তার সবচেয়ে বড় সফলতা হচ্ছে মানুষের মধ্যে তিনি এ বিশ্বাস এনে দিয়েছেন যে, আমরা পরিবর্তন করতে পারি। দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারি। কেবল বাংলাদেশের মানুষই না, আজকে বিশ্বের মানুষও বিশ্বাস করতে শুরু করেছে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়া দেশ না।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের এক সময় নদী শাসনের সামর্থ্য ছিল না। বর্তমান সরকার সে সামর্থ্য অর্জন করেছে। পৃথিবীতে ব্রাজিলের আমাজান নদীর পরে এই মেঘনা হলো দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী। এই নদী দিয়ে সবচেয়ে বেশী পানি নিষ্কাশন হওয়ায় এ জায়গাগুলোর ভাঙন প্রবণতা বেশি। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও নদী ভাঙনের সাথে যুদ্ধ করে কাজ করতে হয়, যা অন্য কোনও সেক্টরকে করতে হয় না।’

ভোলার ইলিশাকে রক্ষা করার জন্য সাড়ে তিন কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণে প্রায় তিনশ ২৫ কোটি টাকার বাজেট আমরা এখানে দিয়েছি। বৃহত্তর ভোলায় নদী ভাঙন প্রতিরোধে ২ হাজার ২শ ৯০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। যা পানি উন্নয়ন বোর্ডের মূল বাজেটের ৬০ ভাগ। যা ধাপে ধাপে দেওয়া হবে। এছাড়াও ভোলার নদী ভাঙন ঠেকাতে যত টাকা খরচ হবে তা আমরা দেব।

অনুষ্ঠানে ইলিশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সরোয়ার হোসেন মাষ্টারের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম (বীরপ্রতীক), পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহা-পরিচালক মাহফুজুর রহমান, বরিশালের প্রধান প্রকৌশলী সাজিদুর রহমান সর্দার।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত