সিলেটটুডে ডেস্ক

০১ অক্টোবর, ২০১৮ ১৪:০২

ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষকের কারাদণ্ড

ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে এক স্কুল শিক্ষককে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার (১ অক্টোবর) সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার রহমান টাঙ্গাইল বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক সাইদুর রহমানকে এই দণ্ডাদেশ দেন।

স্থানীয়রা জানান, বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের দীর্ঘদিন ধরে ক্লাসে ও ক্লাসের বাইরে অশালীন মন্তব্য ও কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন শিক্ষক সাঈদুর রহমান বাবলু। শুধু ছাত্রী নয় তাদের অভিভাবকদের নিয়েও তিনি অশালীন মন্তব্য করতেন। ছাত্রী ও তার অভিভাবক প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ দিলেও সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এসব ঘটনায় পুরো বিদ্যালয়ের ছাত্রী ও অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ ছিলেন।

গত রোববার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দেয় সাঈদুর। ওই দিনই সকল ছাত্রীরা প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি জানায়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক মামুন তালুকদার অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো ওই ছাত্রীকে স্কুল থেকে বের করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে কিছু ছাত্রীর স্বাক্ষর নেন। ওই ঘটনা জানাজানি হলে সোমবার সকালে ছাত্রী ও অভিভাবকরা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার ও শাস্তির দাবিতে বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন। এসময় সাইদুর রহমান বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে প্রবেশ করলে ছাত্রীরা তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে তাকে অফিস কক্ষ থেকে বের করে এনে মারধর করেন অভিভাবকরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অভিযুক্ত শিক্ষক সাইদুর রহমানকে আটক করে।

যৌন হয়রানীর শিকার ওই ছাত্রী বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই সাঈদুর রহমান বাবুল তাদের অনেককে বিভিন্নভাবে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। বিষয়টি একাধিকবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মামুন তালুকদারকে জানানোর পরও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মামুন তালুকদার জানান, তিনি কোন ছাত্রীদের কাছ থেকে স্বাক্ষর নেননি। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে সাঈদুর রহমান বাবুলকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) আশরাফুল মোমিন বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত