নিজস্ব প্রতিবেদক

০৭ অক্টোবর, ২০১৬ ১৭:১৯

‘প্রেম প্রত্যাখ্যান’ করায় শাবি ছাত্রীকে মারধর, কথিত প্রেমিককে গণধোলাই

সিলেট মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসকে কোপানোর ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড়ের মধ্যেই এবার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রী মারধরের শিকার হয়েছেন। পরে শিক্ষকরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।

শুক্রবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে শাবি ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।

নির্যাতিত ছাত্রী শাবির নৃবিজ্ঞান চতুর্থ বর্ষের। এ ঘটনায় নির্যাতনকারী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র কাওছার আহমদকে গণধোলাই দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

জালালাবাদ থানা পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ওই ছাত্রীর সাথে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো বলে দাবি করেছেন কাওছার। আজকের ঘটনাকে ভুল বুঝাবুঝি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তিনি। তারা দু'জনের বাড়িই হবিগঞ্জ জেলায়।

শাবি সূত্র জানায়, শুক্রবার দুপুরে মেয়েটির সাথে দেখা করতে ক্যাম্পাসে আসেন কাওছার আহমদ তার বোনকে নিয়ে। ক্যাম্পাসে আলাপচারিতার একপর্যায়ে ভাইবোন মিলে ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করতে থাকেন। এসময় শাবি অধ্যাপক সামসুল আলম ও সাজেদুল করিম ঘটনাস্থল দিয়ে যাওয়ার সময় কাওছারকে থামানোর চেষ্টা করেন। এতে কাওছার ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষকদের উপরই চড়াও হন। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে কাওছারকে মারধর করেন।

ঘটনার খবর পেয়ে জালালাবাদ থানা পুলিশ ক্যাম্পাসে গিয়ে কাওছার ও তার বোনকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। এসময় শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। পরে শিক্ষার্থীদের শান্ত করে কাওছার আহমদ, তার বোন ও লাঞ্ছিত ছাত্রীকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

এ ব্যাপারে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কাওছার ও তার বোনকে থানায় আটক রাখা হয়েছে। মারধরের শিকার হওয়া ছাত্রীও আমাদের জিম্মায় রয়েছেন। তিনি অভিযোগ করলে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে।

এ ব্যাপারে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার বলেন, আমাদের কাছে ছাত্রীকে মারধরের ভিডিও ফুটেজও আছে। আমরা ছাত্রীর বক্তব্য জানার অপেক্ষায় আছি। তার বক্তব্য পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত