রাবি প্রতিনিধি

২৫ জানুয়ারি, ২০১৭ ২৩:২০

হাইকোর্টের নির্দেশে রাবির নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত

হাইকোর্টের নির্দেশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত ও একই সঙ্গে ‘নিয়োগ প্রক্রিয়া কেন বাতিল করা হবে না’ এই মর্মে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জবাব দিতে নির্দেশ দিলে বুধবার (২৫ জানুয়ারি) এ নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।

বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। কিন্তু ২০১৪ থেকে গত বছরের ৩ নভেম্বর পর্যন্ত প্ল্যানিং কমিটির তিনটি সভা আহ্বান করা হলেও সদস্যরা উপস্থিত না থাকায় তা অনুষ্ঠিত হয়নি।

এরপর ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সভাপতির দেওয়া একটি চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে প্ল্যানিং কমিটির চারজন শিক্ষককে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ২৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৪৬৯তম সভায় একাডেমিক কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

এরপর গত ৭ ডিসেম্বর সাতটি পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে এ নিয়োগ পরীক্ষার সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
 
কিন্তু এই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির চার শিক্ষক আদালতে রিট আবেদন দাখিল করেন। রিট আবেদনকারীরা হলেন, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক শেখ ম. নূরউল্লাহ, অধ্যাপক জাফর সাদিক, অধ্যাপক অহিদুল ইসলাম ও অধ্যাপক জাহাঙ্গীর কবির।

প্রধান রিট আবদনকারী শেখ ম. নূরউল্লাহ বলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগে মতামত দেয়ার এখতিয়ার একাডেমিক কমিটির নেই। বর্তমান উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অমান্য করে আমাদের অধিকারকে খর্ব করে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে স্বেচ্ছাচারিতার পরিচয় দিয়েছেন। ’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের বিভাগে কোনো সেশন জট নেই। কোনো অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগেরও তাই প্রয়োজন নেই। যদি সেটা প্রয়োজন হয় তাহলে আমরা সেটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানালে তারপর তারা শিক্ষক নিয়োগ দিবেন। কিন্তু এখানে ঘটনাটা ঘটছে সম্পূর্ণ উল্টো । বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজে থেকেই আমাদেরকে না জানিয়ে শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সমুন্নত রাখতে আমাদেরকে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে।’

উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন বলেন, আদালতের স্থগিতাদেশ পাওয়ায় আজকে প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের যে পরীক্ষা ছিল তা স্থগিত করেছি। যেহেতু প্ল্যানিং কমিটির সদস্যরা আদালতে গিয়েছেন কাজেই আইনের মাধ্যমেই বিষয়টির ফয়সালা হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত