১৪ ফেব্রুয়ারি , ২০১৭ ২০:০১
সিলেটের এমসি কলেজে টানা তিনদিন ব্যাপী চলা বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
গত ১২ তারিখ থেকে শুরু হওয়া এ প্রতিযোগীতায় কলেজ ক্যাম্পাসের তিনটি ভেন্যুতে মোট পনেরটি ইভেন্টে এক হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেন। ইভেন্টগুলোর মধ্যে কবিতা আবৃত্তিতে সর্ব্বোচ ৬৪ জন অংশগ্রহন করেন।
সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার প্রধান পৃষ্টপোষক অধ্যক্ষ অধ্যাপক নিতাই চন্দ্র চন্দ ও উপাধ্যক্ষ হায়াতুল ইসলাম আকঞ্জির পৃষ্টপোষকতায় প্রতিযোগীতা সফলভাবে আয়োজনের জন্য পাঁচটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়।
কলেজের শিক্ষকদের পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রতিথযশা শিল্পীবৃন্দ পনেরটি ইভেন্টেই বিজ্ঞ বিচারক হিসেবে ছিলেন বলে জানিয়েছেন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার সদস্য সচিব ও শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক তোতিউর রহমান।
পনেরটি ইভেন্টের প্রতিযোগীতায় নজরুল ও উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে বিপ্রদাস ভট্টাচার্য বাপ্পু, লোকসঙ্গীতে জামাল উদ্দিন হাসান বান্না, দেশাত্ববোধক গানে অনিমেষ বিজয় চৌধুরী, কবিতা আবৃত্তিতে আমিনুল ইসলাম চৌধুরী লিটন, লোকনৃত্য ও নৃত্য উচ্চাঙ্গে নীলাঞ্জনা দাস জুঁই ও বিপুল শর্মা, জারীগানে সূর্যলাল দাস, রবীন্দ্র সঙ্গীতে রানাকুমার সিনহা বিশেষজ্ঞ বিচারকের ভূমিকায় ছিলেন।
কলেজের সাহিত্য, সংস্কৃতি অঙ্গনের সেরা মেধাবীদের খুজে বের করতে এ আয়োজন জানিয়ে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার আহ্বায়ক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক শামীমা আকতার চৌধুরী বলেন, অল্প সময়ের প্রস্তুতি আর সহকর্মীদের আন্তরিকতায় আমরা সুন্দরভাবেই অনুষ্ঠানটা শেষ করতে পেরেছি। আগামী বৎসর থেকে প্রতিযোগীতাটি মাসব্যাপী করা হবে।
আগামী ২৬ শে মার্চ বিজয়ীদের হাতে সনদপত্র ও পুরস্কার তুলে দেয়ার পাশাপাশি প্রতিযোগীতার বিজয়ীদের দিয়েই কলেজের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানাদি সাজানো হবে বলে জানান তিনি।
আপনার মন্তব্য