এমসি কলেজ প্রতিনিধি

০১ মার্চ, ২০১৭ ০১:০৭

এমসি কলেজে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা সম্পন্ন

আর অন্য সব দিনের মতো সকাল হলেও এমসি কলেজ ক্যাম্পাসের মঙ্গলবার সকালটা ছিলো বেশ ব্যাতিক্রমী। কারণটা অবশ্য বেশ বড়। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের বিভাগীয় পর্যায়ের সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার ভেন্যু ছিল এমসি কলেজ।

ভোর ছেড়ে সকালের সূর্যের তাপ বাড়ার আগেই সিলেট বিভাগের চারটি জেলার শ্রেষ্ট প্রতিযোগীরা শিক্ষকদের সাথে প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণে আসেন।

১৪ ইভেন্টের এ প্রতিযোগীতায় নৃত্য, অভিনয়, জারি গানে অংশগ্রহণকারীরা এসেছিল ভিন্ন ভিন্ন সাজের সাথে নূপুর পায়ে। দুপুর গড়িয়ে বিকেলে ফলাফল ঘোষনায় প্রতিযোগীদের হৈ-হুল্লোড়ে বোঝার উপায় ছিল না প্রতিযোগীতা চলছে নাকি উৎসব।

৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে স্নাতকোত্তর শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের চারটি গ্রুপে বিভক্ত করে সিলেটের চারটি জেলার শ্রেষ্ট ২২৪ জন প্রতিযোগী নিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ের এ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়।

সিলেট বিভাগের ৫৬ জন শ্রেষ্ট প্রতিযোগীর মধ্যে সিলেট জেলার ২৬ জন, মৌলভীবাজারের ১৭ জন, হবিগঞ্জের ৭জন এবং সুনামগঞ্জ জেলার ৬ জন প্রতিযোগী বিভাগের শ্রেষ্ট প্রতিযোগী হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগীতার জন্য উত্তীর্ণ হয়েছেন।

জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের বিভাগীয় সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতায় বিচারকের ভূমিকায় ছিলেন অনিমেষ বিজয় চৌধুরী, বিপুল শর্মা, বিপ্রদাস ভট্টাচার্য বাপ্পু, সূর্য্যলাল দাস। এছাড়া প্রায় প্রতিটি ইভেন্টেই জেলা শিশু একাডেমী ও শহরের স্কুল কলেজের শিক্ষকবৃন্দ বিজ্ঞ বিচারকের ভূমিকা পালন করেন।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এ প্রতিযোগীতা বিকাল ৩টা ৩০মিনিটে শেষ হয় নৃত্যের ফলাফল ঘোষনার মধ্য দিয়ে।

আগামী ৩ মার্চ বিকাল ৩টায় বিজয়ীদের নিয়ে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সিলেট সরকারী মহিলা কলেজে হবে বলে জানিয়েছেন উপ-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক শামীমা আকতার চৌধুরী।

বিভাগীয় পর্যায়ের শ্রেষ্টত্ব অর্জনকারী ৪ জেলার এসব প্রতিযোগীকে দুই কপি পাসপোর্ট, দুই কপি স্টাম্প সাইজের ছবি এবং আইডি কার্ডের ফটোকপি বা প্রতিষ্টান কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়ন পত্র সিলেট শিক্ষা ভবন, তালতলায় জমা দেয়ার জন্য প্রতিযোগীদের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সহকারী পরিচালক প্রতাপ চৌধুরী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত