রাবি প্রতিনিধি

০৪ মার্চ, ২০১৭ ১৭:৩৯

নিরাপত্তা বাড়াতে রাবিতে বসানো হচ্ছে ৬০০ সিসি ক্যামেরা

নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিভিন্ন জায়গায় ৬০০ টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসি) বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রত্যেকটা অনুষদ ভবন, টুকিটাকি চত্বর, প্যারিস রোড, চারুকলা চত্বর, শহীদ মিনার, বধ্যভূমি, আবাসিক হল ও শিক্ষকদের আবাসিক এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসানো হবে এ সিসি ক্যামেরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ক্যাম্পাসের ভিতরে ও বাইরে বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় চুরি, ছিনতাইসহ নানা রকম অপরাধ প্রতিনিয়ত সংঘটিত হয়। এসব ঘটনায় সঠিক প্রমাণের অভাবে অপরাধীদের চিহ্নিত করতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে কত দিনের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে এ বিষয়ে জানাতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ।

চার বছর মেয়াদী প্রায় ৩৬৪ কোটি টাকার যে উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, এরই আওতায় ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ৬০০ সিসি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে খরচ হবে আড়াই থেকে তিন কোটি টাকা।

সিসি ক্যামেরার বিষয়ে সমাজকর্ম বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রাজু আহমেদ বলেন, ‘ক্যাম্পাস সিসি টিভির আওতায় থাকলে অপরাধ প্রবণতা কমবে। ফলে শিক্ষার্থীরা অবাধে সংস্কৃতি চর্চা করতে পারবে এবং সর্বোপরি শিক্ষার মানোন্নয়ন ঘটবে।’

ফলিত গণিত বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ক্যাম্পাসের ভিতরে রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনগুলো অনেক সময় মারামারিতে লিপ্ত হয়। এর ফলে ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল হয়ে উঠে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায়। আবার তারা নিজেরা বা অন্য সংগঠনগুলোর সঙ্গে মারামারিতে লিপ্ত হয়ে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপায়। কিন্তু ক্যাম্পাস সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকলে তাদের সনাক্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মজিবুল হক আজাদ খান বলেন, সারাদেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। এছাড়া ক্যাম্পাসে খুন, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ ঘটেই চলেছে। তাই ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান বলেন, ‘ক্যাম্পাসের ভিতরে ও বাইরে বেশকিছু হত্যাকাণ্ড ঘটেছে যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। এছাড়া চুরি-ছিনতাই ও মারামারির ঘটনা ঘটে থাকে। এসব নানা বিষয়ে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য সরকার ও পুলিশ প্রশাসন আমাদের সিসি ক্যামেরা লাগানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। প্রস্তাবটা ভালো মনে করায় আমরা সেটা গ্রহণ করেছি।’

তবে উন্নয়ন প্রকল্পের বড় বাজেটের সঙ্গে সম্পর্কিত হওয়ায় কত দিনের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত