নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ ফেব্রুয়ারি , ২০২০ ১৪:৪২

লিডিং ইউনিভার্সিটির শহীদ মিনারে মুগ্ধ পরিকল্পনামন্ত্রী

'মা' এর সম্মানে দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার নির্মাণ করেছে লিডিং ইউনিভার্সিটি। নবনির্মিত এ শহীদ মিনার দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় কামালবাজারস্থ লিডিং ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দৃষ্টিনন্দন লিডিং ইউনিভার্সিটির নবনির্মিত শহীদ মিনারের উদ্বোধন করেন।

এসময় তিনি বলেন, লিডিং ইউনিভার্সিটির শহীদ মিনার দেখে আমি মুগ্ধ। আমি মনে করি এর নকশাকারক বিশ্বের ৫৪টি ভাষায় ‘মা’ শব্দটির সমন্বয় ঘটিয়ে আমাদের প্রসারিত করেছেন। এজন্য আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। মায়ের প্রতি সম্মান জানিয়ে এর মূল নকশা তৈরির বিষয়টি অত্যন্ত চমৎকার হয়েছে।

সকল মায়েদের প্রতি সম্মান জানিয়ে লিডিং ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক স্থপতি রাজন দাসের নকশায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫ শতক জায়গায় এই শহীদ মিনারটি নির্মাণ করা হয়।

বিশ্বের ৫৪টি ভাষায় ‘মা’ শব্দ শহীদ মিনারে বসিয়ে ‘মা’ ও 'মাতৃভাষাকে' সবার উপরে রেখে মায়ের ভাষাকে সম্মান প্রদর্শন এ স্থাপত্যকর্ম শহীদ মিনারের লক্ষ্য।

সকাল সাড়ে ৯টায় কামালবাজারস্থ লিডিং ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে নবনির্মিত শহীদ মিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এ মুগ্ধতা প্রকাশ করেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, মা কথাটি অনেক মধুর। আর মায়ের ভাষা সব সময় সম্মানিত। সেটা যেকোনো দেশের ভাষায় হোক। আমাদের মাতৃভাষাকে আমরা যেমন সম্মান করি তেমনই অন্য দেশের ভাষাকেও সম্মান করা উচিৎ। আর এই শহীদমিনারে সেটাই হয়েছে।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন আমরা বিচ্ছিন্ন ছিলাম। কারণ আমরা উপনিবেশ শাসনে আবদ্ধ ছিলাম। কিন্তু এখন আমরা মুক্ত, তাই আমরা সময়ে সময়ে বিশ্বের সাথে তাল মিলাচ্ছি।

এ সময় এম এ মান্নান তার ভালো লাগার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ফাল্গুন মাস, দক্ষিণা বাতাস আর সামনে তারুণ্যের সমাগম, সব মিলিয়ে আজকের সকালটি আমার কাছে অন্যরকম ভালো লাগার একটি সকাল। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসটি আমার অত্যন্ত ভালো লেগেছে। কারণ শিক্ষার্থীদের কেবল পড়ালেখা করলেই চলবে না। তাদেরকে পরিবেশ-প্রকৃতি এসব কিছুর দ্বারস্থ হতে হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী সকলকে মানবজাতির কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা শিক্ষার্থী আছো তোমাদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে তোমরা যেন মানব জাতির কল্যাণে কাজ করো। কারণ মানবজাতির জন্য কাজ করার মানুষ তৈরি করার প্রধান কারিগর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জ্ঞান বিজ্ঞানের বিকাশ হয়, অন্তর আত্মা মুক্তি পায়।

লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান রাগীব আলীর সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কামরুজ্জামান চৌধুরী।

লিডিং ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক কাজী মো. জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলা ও আধুনিক ভাষা অনুষদের ডীন প্রফেসর নাসির উদ্দিন আহমেদ।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার বনমালী ভৌমিক, আধুনিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. এম. রকিব উদ্দিন, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সচিব মেজর (অব.) শায়েখুল হক চৌধুরী, রেজিস্ট্রার মেজর (অব) মো. শাহ আলম, পিএসসি, প্রক্টর মো. রাশেদুল ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত