০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০৯
পুলিশ হেফাজত ও কারাগার মিলিয়ে টানা ২৭ দিন পর যখন মুক্তিপান অভিনেত্রী পরীমণি, একটুও ক্লান্ত দেখায়নি তাকে। কারাগার থেকে বের হয়েই হাস্যোজ্জ্বল মুখে ছাদখোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে ভক্তদের উদ্দেশে হাত নাড়েন। সে সময় তার পরনে ছিল সাদা টি-শার্ট। মাথায় সাদা ওড়না পেঁচানো আর চোখে ছিল রোদচশমা। গাড়িতে দাঁড়িয়ে ভক্তদের সঙ্গে সেলফিও তোলেন। ভীড়ের মধ্যে হাত মেলান কয়েক জনের সঙ্গে। এ সময় বেশ হাসিখুশি দেখায় তাকে।’
প্রশ্ন ওঠেছে জীবনের এই সংকটময় সময়ে কীভাবে এতো প্রাণবন্ত পরীমণি? যদিও তার উত্তর কারাগার থেকে বের হয়েই একবার দিয়েছেন তিনি।
কারামু্ক্তির পর অভিনেত্রী পরীমণি বলেছিলেন, 'আমি ভেঙে পড়ার মেয়ে না। ভেঙে পড়লেও উঠে দাঁড়াব আমি। আমাকে যারা চেনেন, তারা জানেন, আমি কেমন।'
কারামুক্তির ৫ দিনের মাথায় পরীমণি আবারও জানালেন প্রাণবন্ত থাকা ও শক্তির উৎস সম্পর্কে।
রোববার পরীমণি তার ফেসবুক পেজে কলমে লেখা একটি চিঠির ছবি পোস্ট করে লিখেন, 'একটা চিঠি। আমার সব শক্তির গল্প এখানেই।'
চিঠিটি পরীমণির নানা শামসুল হকের লেখা, নিচে রয়েছে তার সই। চিঠিতে শামসুল হক পরীকে লিখেছেন, 'নানু, আমি ভালো আছি, কোনো চিন্তা করবা না। তোমার সাথে শীঘ্রই দেখা দিব।'
গত বুধবার সকালে মাদক মামলায় জামিনে মুক্ত হয়েছেন পরীমণি। আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভীর কাছে তাকে হস্তান্তর করে কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ। এ সময় পরীমণি গাড়িতে দাঁড়িয়ে উপস্থিত ভক্তদের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীরা প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে পরীমণি শুধু বলেন, ‘থ্যাংক ইউ, ধন্যবাদ।’
এর আগের দিন দুপুরে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ পরীমণির জামিনের আদেশ দেন। যেহেতু তার বিরুদ্ধে অন্য মামলা নেই, তাই মুক্তিতে বাধা ছিল না।
গত ৪ আগস্ট পরীমণিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অভিযানে মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করে র্যাব। এরপর পরীমণির বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হয়।
আপনার মন্তব্য