বিনোদন ডেস্ক

২২ জুন, ২০১৬ ২২:৪৯

সমালোচনায় বিদ্ধ ‘মহেঞ্জো দারো’

দুই বছর পর ‘মহেঞ্জো দারো’র মাধ্যমে পর্দায় ফিরছেন অভিনেতা হৃত্বিক রোশন। তবে সিনেমাটির ট্রেইলার ভক্তদের হতাশ তো করেছেই, সেইসঙ্গে উঠেছে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগও।

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে সিনেমা নির্মাণের জন্য পরিচিত আশুতোশ গোয়ারিকরও দীর্ঘ ৬ বছর পর ফিরেছেন ছবি পরিলানায়। তার সর্বশেষ কাজ ছিল ২০১০ সালে নির্মিত সিনেমা ‘খেলে হাম জি জান সে’, যা বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়।

ছবির পোস্টার প্রকাশের পরপরই সিনেমাটির নায়ক হিসেবে হৃত্বিকের রূপসজ্জা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিলো। আর ট্রেইলার বের হওয়ার পর শোনা যাচ্ছে আরও বেশি গুঞ্জন। টুইটারে চলছে একের পর এক সমালোচনার।

একজন লেখেন, “গোয়ারিকর ‘মহেঞ্জো দারো’ প্রাচ্যের ইতিহাসকে চকচকে মোড়কে উপস্থাপন করতে গিয়ে পুরোই মার খেয়ে গেছেন।”

আরেকজন প্রশ্ন তোলেন সিনেমার নাম ‘মহেঞ্জো দারো’ রাখা নিয়েও।
আপুর্ভা আশ্রানি নামের ওই টুইটার ব্যবহারকারী আরও লেখেন, “সিন্ধি ভাষায় ‘মহেঞ্জো দারো’ মানে হলো ‘লাশের স্তুপ’। ১৯২০ সালে যখন ওই স্থানটিতে প্রত্নতাত্ত্বিক খোড়াখুড়ি শুরু হয়েছিল, তখন এই নাম দেওয়া হয়।”

আরেকজন লেখেন, “আশুতোশ গোয়ারিকরের কি এটা জানা উচিৎ নয় যে, ওই স্থানের সত্যিকারের অধিবাসীরা কখনোই এটাকে ‘লাশের স্তুপ’ বলবে না?”

আরেকজন টুইটার ব্যবহারকারীর অভিযোগ, ”মহেঞ্জো দারো’ মনে হচ্ছে ‘কোয়ি মিল গ্যায়া’, ‘কৃশ’, ‘গ্ল্যাডিয়েটর’, ‘এক পাহেলি লিলা’ এবং ‘লাগান’-এর জগাখিচুড়ি।”

একজন তো বলেই ফেললেন, ”মহেঞ্জো দারো’কে ‘বাহুবলি’র লো বাজেট সংস্করণ মনে হচ্ছে। সিনেমাটি দেখবো না, তবে এ আর রহমানের সুর করা গানগুলো কিনবো। এবং ‘বাহুবালি টু’ দেখব।”

সিনেমাটির কলাকুশলীদের নিয়ে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে ট্রল বানানো। সিনেমার একটি দৃশ্যের ছবি তুলে একজন টুইট করেন, “এই দুই মার্কিন নাগরিক কী করছেন ‘মহেঞ্জো দারো’তে?”

ছবিতে হৃত্বিকের বিপরীতে অভিনয় করেছেন নবাগতা পুজা হেগড়ে। পুজার সাজসজ্জা নিয়েও উঠেছে বিতর্ক। দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের এক শিক্ষার্থী প্রশ্ন তোলেন, কোথায় লেখা আছে যে হরপ্পার নারীরা মাথায় পাখির পালক পড়তেন?

রুচিকা শর্মা নামের এই শিক্ষার্থী টুইট করেন, “এটা কোন ধরণের অসুস্থ প্রাচ্যনীতি? তাদের কে বলেছে হরপ্পার অধিবাসীরা মাথায় পাখির পালক পড়তেন?”
তিনি আরও লিখেন, “সবাই জানে, আর্যদের গায়ের রং ছিল ফর্সা, হরপ্পার অধিবাসীদের না। কিন্তু বলিউডে গায়ের রং ফর্সা না দেখালে চলে না। খুবই বিরক্তিকর।”

পুজার রূপসজ্জা নিয়ে ট্রল করতে ছাড়েননি টুইটারবাসী। হলিউড অভিনেত্রী আঞ্জেলিনা জোলির অস্কারের সেই বিখ্যাত দেহভঙ্গীর ছবির সঙ্গে পুজার ছবিটির তুলনা করে একজন লেখেন, “দেখে মনে হচ্ছে হরপ্পার নারীরা এই ভঙ্গি আঞ্জেলিনা জোলির আগেই আবিষ্কার করেছেন।”

হৃত্বিকের সঙ্গে এর আগে গোয়ারিকর দর্শককে উপহার দিয়েছেন ‘যোধা আকবর’-এর মত ঐতিহাসিক সিনেমা। আমির খান অভিনীত ঐতিহাসিক কাহিনীর ‘লাগান’ও নির্মাণ করেছিলেন তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত