প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ রয়েছেন অভিনেতা ফখরুল হাসান বৈরাগী।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) তাঁর স্ত্রী রাজিয়া হাসান জানান, গত ৭ আগষ্ট থেকে নিখোঁজ রয়েছেন বৈরাগী। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও তাঁর কোনো যোগাযোগ নেই। তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ। হজ্বে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু সেখানে তিনি গিয়েছেন কি না তাও জানেন না তাঁর স্ত্রী-সন্তানরা।

রাজিয়া হাসান বলেন, "গত ৭ আগস্ট সকালে ছেলে সামন্ত হাসান ইসাকে কলেজে পৌঁছে দিয়ে বাসায় আসেন তিনি। এরপর বাসার দারোয়ানের কাছে গাড়ির চাবি রেখে আবার বের হয়ে যান। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। আমরা পুলিশ ও র‌্যাবের কাছে ঘটনাটি জানিয়েছি। তারা উদ্ধার কিংবা খোঁজ পাওয়ার জন্য সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন বলে জানালেও সেখান থেকে এখনও কোনো খবর পাইনি।"

অন্য এক সূত্রে জানা গেছে জানা গেছে, পারিবারিক বিরোধের কারণে আড়ালে রয়েছেন বৈরাগী। তবে সেটা আড়াল নাকি গুম তা স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। বৈরাগীর স্ত্রীও এ প্রসঙ্গে কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি। তবে বিরোধের বিষয়টি তিনি পরোক্ষভাবে স্বীকার করেছেন। বলেছেন, বৈরাগী ফিরে না এলে আমি সবকিছু ফাঁস করে দেব। তবে কী প্রসঙ্গে কিংবা কার গোপন কথা ফাঁস করবেন রাজিয়া, সেটা নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি।

জানা যায়, দুই ভাই, দুই বোন ও ভাইদের স্ত্রীদের সঙ্গে ফখরুল হাসান বৈরাগীর বিরোধ রয়েছে। এ কারণে মা ও হাতিরপুলে নিজ বাসা ছেড়ে সম্প্রতি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় উঠেন তিনি। মা অসুস্থ থাকা স্বত্ত্বেও ভাই-বোনদের অত্যাচারের কারণে তাঁকে ছেড়ে আসতে হয়েছে। এজন্য বেশ কিছুদিন বৈরাগী মানসিকভাবে অসুস্থও ছিলেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে বৈরাগীর স্ত্রী রাজিয়া হাসান বলেন, "পারিবারিক বিরোধের জের ধরে বৈরাগীর দুই বোন আমার গায়েও হাত তুলেছে। কিন্তু পারিবারিক সম্মানের কথা চিন্তা করে বিষয়টি বেশিদুর এগোতে দিইনি। আমরা নিজেরাই বাসা ছেড়ে দেই। কিন্তু এতেও শেষ রক্ষা হয়নি।"