মৃত্যুর আগে দুই পৃষ্ঠার একটি সুইসাইড নোট লিখে গেছেন জ্যাকুলিন মিথিলা। সেখানে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যারা প্রতিনিয়ত তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতো বলে জানান তার বাবা। আর এই ব্যক্তিদের মধ্যে আটজনের নামে মামলা হয়েছে।

মিথিলার বাবা স্বপন শীল গণমাধ্যমকে জানান, ওর (মিথিলা) স্বামী উৎপল ও তার পরিবার আমার মেয়ের সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করেছে। রাগ-ক্ষোভে মিথিলা সুইসাইড করতে বাধ্য হয়েছে।

তিনি জানান, জ্যাকুলিন মিথিলা নামটি মিডিয়ায় পরিচিত হলেও তাঁর মেয়ের আসল নাম জয়া শীল। তাঁর মেয়ের বেশ কয়েক বছরের সম্পর্ক উৎপলের সঙ্গে। মাস চারেক আগে তারা কোর্ট ম্যারেজ করেন। আর বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় দাম্পত্যকলহ।

স্বপন শীল বলেন, বিয়ের পর থেকে প্রায়ই স্বামী ও মিথিলার মধ্যে ঝগড়া হতো। উৎপলের বৌদি রূপাও আমার মেয়ের সঙ্গে ফোনে খারাপ ব্যবহার করেছে, অপমান করেছে।

তিনি বলেন, মিথিলার স্বামী উৎপল চট্টগ্রামে কৃষি বিভাগে চাকুরী করেন। মিডিয়ায় কাজ করা নিয়ে ঝামেলা হতে পারে ভেবে মিথিলা সমঝোতায় ছাড়াছাড়ি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার স্বামী তাকে মিডিয়ায় কাজ করতে উৎসাহিত করেন।

গত ৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন জ্যাকুলিন মিথিলা। আত্মহত্যার বিষয়টি মিডিয়ায় জানাজানি হয় তার কয়েকদিন পর।

চট্টগ্রাম বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মইনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জয়া শীল নামে একজন তরুণী গত ৩ ফেব্রুয়ারি আত্মহত্যা করেছিলেন। এ ঘটনায় তার বাবা স্বপন শীল বাদী হয়ে আটজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।

উল্লেখ্য, জ্যাকুলিন মিথিলা আইটেম গানে অভিনয় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের খোলামেলা ছবি পোস্ট করার কারণে বেশ পরিচিত ছিলেন। বিভিন্ন সময় তার এসব ছবির জন্য ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। ফেসবুক লাইভেও রাখঢাকহীন কথাবার্তা ও খোলামেলা পোশাক পরে হাজির হওয়ায় আলোচিত-সমালোচিত হন জ্যাকুলিন মিথিলা।