‘ন ডরাই’ চলচ্চিত্রে সেন্সর বাতিল ও প্রদর্শনী বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাই কোর্ট। এছাড়াও ‘ন ডরাই’ নামে বাজারে যে কমিক বই আছে, সেটিও বাজার থেকে প্রত্যাহারে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।

চার সপ্তাহের মধ্যে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয় সচিব, ছবিটির প্রযোজক মাহবুব রহমান, পরিচালক তানিম রহমান অংশু ও চিত্রনাট্যকার শ্যামল সেনগুপ্তকে এসব রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতের রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জুলহাস আহমেদ। সঙ্গে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী মো. হুজ্জাতুল ইসলাম।

গত ৪ ডিসেম্বর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ তুলে ‘ন ডরাই’-এর সেন্সর বাতিল ও প্রদর্শনী বন্ধে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয় সচিব, ছবিটির প্রযোজক মাহবুব রহমান, পরিচালক তানিম রহমান অংশু ও চিত্রনাট্যকার শ্যামল সেনগুপ্তকে চলচ্চিত্রটি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছিলো।

নোটিশে বলা হয়েছিলো, এই চলচ্চিত্রে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর স্ত্রী হযরত আয়শা (র.) সম্পর্কে বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও চলচ্চিত্রের কিছু অংশ অশ্লীল ও অনৈতিক। তাই এসব বিষয়ে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অনুভূতিতে আঘাত সৃষ্টি করবে। চলচ্চিত্রটির প্রযোজক, পরিচালক এবং চিত্রনাট্যকার সস্তা প্রচারণার উদ্দেশ্যে ধর্মীয় উস্কানিমূলক পথ বেছে নিয়েছেন। নোটিশে চলচ্চিত্রটির সেন্সর, প্রদর্শন এবং এ সংশ্লিষ্ট বইটি বাজার থেকে প্রত্যাহার এবং চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের মুসলিম সমাজের কাছে ক্ষমা চাইতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

নোটিশের জবাব না পেয়ে আইনজীবী মো. হুজ্জাতুল ইসলাম হাইকোর্টের রিট দায়ের করেছিলেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করলেন।

এ বিষয়ে ‘ন ডরাই’ সংশ্লিষ্টদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, স্টার সিনেপ্লেক্স প্রযোজিত চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় নির্মিত সার্ফিং নিয়ে দেশের প্রথম চলচ্চিত্র ‘ন ডরাই’। ছবিটির মূল চরিত্রের নাম আয়শা। যিনি শত প্রতিকূলতা অতিক্রম করে সার্ফিং করেন। এতে আয়শা চরিত্রে অভিনয় করেন সুনেরাহ্ বিনতে কামাল।