আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৬ আগস্ট, ২০২১ ১৩:০৫

কাবুল দূতাবাসের সকল কর্মীকে সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

আফগানিস্তান দখল করার পর মার্কিন সেনাসহ সকল বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনিসহ মন্ত্রিপরিষদের অনেকে। এই পরিস্থিতিতে কাবুলের মার্কিন দূতাবাসের সকল কর্মীকে সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর আল জাজিরার।

সোমবার (১৬ আগস্ট) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র আল জাজিরাকে বলেছেন, কাবুলে তাদের দূতাবাস থেকে মার্কিন কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে দূতাবাসের সকল কর্মীকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তারা সবাই হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চত্বরে আছে। যেটি  মার্কিন সামরিক বাহিনী দ্বারা সুরক্ষিত।’

এদিকে, একজন মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, বেশিরভাগ পশ্চিমা কূটনীতিক এখন কাবুল ত্যাগ করেছেন, কিন্তু কিছু সহায়ক কর্মী শহরে রয়েছেন। তারাও দ্রুত কাবুল ছাড়বেন।

এর আগে গতকাল রোববার থেকে তালেবান শহরে প্রবেশের পর থেকে হেলিকপ্টারগুলো দূতাবাস জেলা থেকে কাবুল বিমানবন্দরে কূটনীতিকদের নিয়ে যাচ্ছে।

বিবিসি জানিয়েছে, মার্কিন সেনারা বিমানবন্দর পাহারা দিচ্ছে। সেই সঙ্গে কাবুলের অন্য এলাকাগুলো থেকে গোলাগুলির শব্দ আর সহিংসতার খবর পাওয়া যাচ্ছে।

এদিকে, আফগানিস্তানে চলমান যুদ্ধের সমাপ্তি হয়েছে বলে জানিয়েছে তালেবান। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার আহ্বানও জানিয়েছে গোষ্ঠীটি।

তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ নায়েম আল-জাজিরাকে জানান, তারা অতিদ্রুত আফগানিস্তানের নতুন সরকার সম্পর্কে সবকিছু পরিষ্কার করে জানাবে। মোহাম্মদ নায়েম বলেন, আমরা যেখানে পৌঁছাতে চেয়েছিলাম সেখানে পৌঁছেছি। আমরা মানুষের জন্য স্বাধীনতা এনেছি। আমরা কারো ক্ষতি করতে চাই না এবং অন্য কাউকে আমাদের ভূমি ব্যবহার করে কারো ক্ষতি করতে দিতে চাই না।

এর আগে রোববার (১৫ আগস্ট) বিকেলে কাতারের দোহায় অবস্থানরত তালেবান মুখপাত্র সুহায়েল শাহীন বলেন, ‘আফগানিস্তানে যারা এর আগে আগ্রাসীদের জন্য কাজ করেছে, সাহায্য করেছে বা এখন যারা দুর্নীতিবাজ কাবুল প্রশাসনের বিভিন্ন পদে আসীন রয়েছেন, তাদের সবার জন্য ইসলামিক আমিরাত দরজা খোলা রেখেছে এবং ক্ষমা ঘোষণা করেছে। আমরা আরেকবার তাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, যেন তারা দেশ ও জাতির জন্য কাজ করতে এগিয়ে আসেন।’

আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, তালেবান তাদের বাহিনীর সদস্যদের শান্ত থাকার ও সহিংসতা এড়িয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

এদিকে, আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল সাত্তার মির্জা কওয়াল বলেছেন, আফগান জনগণকে চিন্তা করতে হবে না। শহরে কোনো হামলা হবে না এবং শান্তিপূর্ণভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ক্ষমতার হস্তান্তর হবে।

তবে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান হিসেবে জালালির নিয়োগের চূড়ান্ত অনুমোদন তালেবান দেবে কি না, সেই ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত