সিলেটটুডে ডেস্ক

২৯ আগস্ট, ২০২১ ০২:১৬

আফগানিস্তানে বিমান থেকে যাত্রী পড়ার দৃশ্যটি ‘ফটোশপ’

তালেবানের হাতে আফগানিস্তান পতনের পর প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ দেশটি ছাড়তে কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিড় করছে।

এতে বিমানবন্দর এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে চরম বিশৃঙ্খলা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লোকজন বিমানে চড়ছে।

এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের উড়ন্ত সামরিক বিমান থেকে এক ব্যক্তির পড়ে যাওয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়েছে।

ভারতের অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল গগনদীপ বক্সি টুইটারে ছবিটি শেয়ার করে বলেন, ‘কাবুল বিমানবন্দরে চলমান নৈরাজ্যের ছবি এটি। বৈশ্বিক সুপার পাওয়ার যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তির জন্য এ ধরনের ছবি ক্ষতিকর।

‘কাবুল বিমানবন্দরের এসব ছবি সাইগনের চেয়েও মর্মান্তিক। এ অভিজ্ঞতা যুক্তরাষ্ট্রকে অনেক দিন তাড়িয়ে বেড়াবে।’

ইন্ডিয়া টুডের অ্যান্টি ফেইক নিউজ ওয়্যার রুমের (এএফডব্লিউএ) অনুসন্ধানে ছবিটির এ দাবি ভুল হিসেবে ধরা পড়ে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ছবিটি পরিবর্তন করা হয়েছে এবং উড়ন্ত বিমান থেকে ব্যক্তির পড়ে যাওয়া ফটোশপের মাধ্যমে যুক্ত করা হয়েছে।

মূল ছবি ও পরিবর্তিত ছবির ধরন ও অবস্থান একই। এমনকি বিমান দুটির পেছনে লেখা রেজিস্ট্রেশন নম্বরও এক। তবে মূল ছবিতে বিমান থেকে কেউ পড়ে যায়নি।

২০১৭ সালের ৯ মে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরের প্রেস্টউইক বিমানবন্দর থেকে মূল ছবিটি তোলা হয়। আর বিমানটির মডেল লকহিড সি-১৩০এইচ হারকিউলিস।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বেশ কয়েকবার বলা হয়েছে, কাবুল থেকে আফগানদের উদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সি-১৭ সামরিক বিমান ব্যবহার করছে।

বিবিসির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, আশির দশকে সি-১৭ বিমান তৈরি করা হয় এবং নব্বইয়ের দশকে প্রথম এটি ওড়ানো হয়।

সেনা ও কার্গো পরিবহন এবং কখনো কখনো বিপদগ্রস্ত মানুষদের উদ্ধারে এখন অনেক দেশই সি-১৭ বিমান ব্যবহার করছে।

সি-১৭ ও লকহিড বিমানের বাহ্যিক কাঠামো এক নয়। বিশেষ করে বিমান দুটির ডানা একেবারেই ভিন্ন।

টুইটারে ব্যবহার করা ছবিটির সঙ্গে কাবুল বিমানবন্দরে সাম্প্রতিক উদ্ধার অভিযানের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

মেজর জেনারেল বক্সি ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, ‘এটি আমার টুইটার অ্যাকাউন্ট নয়। আমার নামে আরও কয়েকটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। সেগুলো ব্লক করা হচ্ছে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত