সিলেটটুডে ডেস্ক:

১৬ নভেম্বর, ২০২১ ২০:০৩

আরিয়ানকে অপহরণ করতে চেয়েছিলেন সমীর

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর টুইট নিয়ে ভারতে হইচই চলছে। শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ানকে অপহরণ করার দাবিতে তিনি মুখ খুলেছেন অনেক আগেই। তার অভিযোগের আঙুল এনসিবির অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে।

এবার আনলেন নতুন প্রমাণও। এনসিপি নেটা এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী নবাব মালিক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন সম্প্রতি। যেখানে কেপি গোসাভির সঙ্গে এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির কথা হয়েছে যে, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো পরিকল্পনা করেছে কোর্ডেলিয়াতে ২ অক্টোবর পার্টি করতে যাওয়া মানুষদের ফাঁদে ফেলার। নবাব মালিক এর আগেও অভিযোগ এনেছিলেন এনসিবি ক্রুজে রেইড চালায়নি, বরং ক্রুজে ওঠার আগেই কিছু নির্দিষ্ট মানুষকে আটক করেছিল। এমনকী, কাদের কাদের ধরা হবে সেই ছবিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল আগেই। এই ক্রুজ থেকেই সেদিন আটক করা হয়েছিল বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে।

মালিকের দাবি, ‘আরিয়ানকে অপহরণ করে মুক্তিপন আদায় করাই ছিল আসল উদ্দেশ্য। তবে সেই পরিকল্পনা বানচাল হওয়ার পরেই গ্রেফতার করা হয় স্টারকিডকে।’

মঙ্গলবার সকালে টুইটার অ্যাকউন্ডে নিজের যুক্তির স্বপক্ষে একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট শেয়ার করেন নবাব। যেখানে দেখা যাচ্ছে এক ইনফর্মারের সাথে গোসাভির কথা হচ্ছে কোর্ডিলাতে পার্টি করতে যাওয়াদের ফাঁদে ফেলা নিয়ে।

সেই ছবি শেয়ার করে নবাব লেখেন, ‘এটা হল সমীর দাউদ ওয়াংখেড়ের প্রাইভেট আর্মি। তাকে অনেক জবাবদিহি করতে হবে এই নিয়ে।’

গোসাভি আর ওই ব্যক্তির চ্যাট অনুসারে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল। যাতে ছিল ৩৫ জন মতো এনসিবি অফিসার। প্রথম স্কিনশটে দেখা যাচ্ছে, ওই ব্যক্তি গোসাভির কাছে জানতে চাইছেন পার্টিতে যারা আসবে তাদের নাম ও কী পরে আসবে সেই ব্যপারে বিস্তারিত তথ্য।

লেখা আছে, ‘আউটফিট মিলে গেলে ওদের খুঁজে পাওয়া আরও সহজ হবে।’

সেখানে গোসাভি জানান, তিনি একটা নাম নিয়ে নিশ্চিত, যা তিনি আগেও জানিয়েছেন, যে পার্টিতে থাকছেই।

আরেকটা স্ক্রিনশটে দেখা যাচ্ছে ওই ব্যক্তি লিখেছেন সমস্ত অফিসাররা অপেক্ষা করে আছে। যার উত্তরে গোসাভি লিখেছেন, তিনি ফোন করবেন যখন সবাই যাওয়া শুরু করবে। বোর্ডিং এমনিতেই চার ঘণ্টা পিছিয়ে গেছে। তাই অনেক ভিড় থাকবে। ওই ব্যক্তি আবারও জানান, তারা বর্তমানের ছবি চান যাদের ওঠানো হবে, কারণ অত ভিড়ে খুঁজে পেতে সমস্যা হতে পারে।

ইতিমধ্যেই মুম্বাই পুলিশ ও এনসিবির তরফে একটি স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT) তৈরি করা হয়েছে ক্রুজ মামলার তদন্তের জন্য। যার অন্যতম সাক্ষী গোসাভির বডিগার্ড হিসেবে নিজেকে দাবি করা প্রভাকর সেইল। তিনি জানিয়েছেন, ২৫ কোটি চাওয়া হয়েছিল আরিয়ানকে ছাড়তে। পরে ১৮ কোটিতে ডিল ফাইনাল হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত