ডেস্ক রিপোর্ট

১২ মার্চ, ২০১৫ ০৩:২০

আইএস জঙ্গিদের হাতে জিম্মিদের উদ্ধারে অগ্রগতি নেই

ছবি সূত্র গুগল

লিবিয়াতে আইএস জঙ্গিদের হাতে অপহৃত দুই বাংলাদেশী জিম্মির চারদিন পেরিয়ে গেলেও তাদের উদ্ধারে কোন অগ্রগতি হয়নি। এ বিষয়ে লিবীয় সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ। খবর সূত্র বিবিসি।

তাদের উদ্ধারের কর্মপন্থা ঠিক করতে, নাগরিকরা অপহৃত হয়েছে এমন আরও তিনটি দেশের কর্মকর্তাদের সাথে একটি বৈঠকে যোগ দিতে পার্শ্ববর্তী দেশ তিউনিসিয়া গেছেন লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।

লিবিয়ায় দূতাবাস কর্মকর্তারা বলছেন দুর্গম এলাকায় অপহরণের ঘটনা ঘটলেও সার্বিকভাবে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে ত্রিপোলীতে চাকুরীরত একজন বাংলাদেশী বলেছেন নিরাপত্তা বলতে কিছুই নেই লিবিয়াতে।

লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলীতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা বলছেন গত শুক্রবার ত্রিপোলী থেকে প্রায় নয়শ কিলোমিটার দুরে মরুভূমিতে একটি তেলক্ষেত্র থেকে দুই বাংলাদেশীসহ মোট নয়জনকে অপহরণের পর চারদিন পেরিয়ে গেলেও লিবীয় কর্তৃপক্ষ এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি যে কারা ওই অপহরণের সাথে জড়িত।

দূতাবাসের কাউন্সিলর এএসএম আশরাফুল ইসলাম বিবিসিকে বলেছেন তারা অপহরণের শিকার বাংলাদেশীদের উদ্ধারে লিবীয় সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক সহযোগিতা চেয়েছে এবং সেদেশের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে একযোগে কাজ করছেন।

তিনি বলেন, আমরা একটা নোট ভারবাল দিয়েছি। বলেছি আমাদের সহযোগিতা দরকার। তারা সর্বশেষ কোন তথ্য দিতে পারেনি। কিন্তু ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে বিষয়টি নিয়ে। এছাড়া দেশের নাগরিকরা অপহরণের শিকার হয়েছেন এমন চারটি দেশ- ফিলিপিন্স, অষ্ট্রিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র ও বাংলাদেশের বৈঠক হবে কর্মপন্থা নির্ধারণে। সেখানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, অবস্থা একটু ভালোর দিকে। যদিও দেশ দুটি সরকারের হাতে। এবার যেটি হলো সেটি ত্রিপোলী থেকে নয়শ কিলোমিটার দুরে। অন্য কোন জায়গায় কোন সমস্যা নেই। তবে ত্রিপোলীতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বাংলাদেশী আবুল কালাম বলছিলেন ভিন্ন কথা। তার মতে লিবিয়ায় নিরাপত্তা বলতে কিছুই নেই এবং এখানে দূতাবাসেরও কিছু করার নেই। তবে বাংলাদেশীদের ফিরিয়ে নেয়ার সুযোগও কম মন্তব্য করে তিনি বলেন বেশি অর্থ আয়ের জন্য তারা নিজেরাই এ ঝুঁকির মধ্যেই কাজ করছেন।

তিনি বলেন, নিরাপত্তা ছাড়াও সাহস নিয়ে আছি। যুদ্ধের পর থেকে এ অবস্থাই চলছে। যারা আছি জীবনের ঝুঁকি নিয়েই আছি। পরিস্থিতির দিন দিন অবনতিই হচ্ছে।

দূতাবাস কর্মকর্তারা বলছেন লিবিয়াতে যারা বৈধভাবে কাজ করতে গেছেন তাদের বিষয়টি মনিটর করা কিছুটা সহজ কারণ তাদের ক্ষেত্রে সেদেশের সরকারের সহায়তা পাওয়া যায়। কিন্তু যারা বৈধভাবে যাননি তাদের সমস্যার ক্ষেত্রে দূতাবাসের পদক্ষেপ নেয়া কিছুটা কঠিন।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত