সিলেটটুডে ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

১৪ জুন, ২০১৬ ২২:৫২

ফ্লোরিডায় চাইলেই পাওয়া যায় অ্যাসাল্ট রাইফেল

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় আর পাঁচটি পণ্যের মতো খুব সহজেই কেনা যায় অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। বন্দুকধারীর গুলিতে শনিবার অরল্যান্ডোর নাইট ক্লাবে ৪৯ জনের মৃত্যুর পর যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি নীতি নিয়ে আবারো প্রশ্ন উঠছে।

আইএস থেকে অনুপ্রাণিত মার্কিন নাগরিক ওমর মতিন শনিবার রাতে পালস নাইটক্লাবে ৪৯ জনকে হত্যা করে । পুলিশ তাকে গুলি করে হত্যার পর তার কাছে পাওয়া গেছে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র। এর মধ্যে ছিল অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি অ্যাসাল্ট রাইফেলও। কীভাবে নাইটক্লাবে এই অস্ত্রসম্ভার নিয়ে ওই ঘাতক ঢুকে পড়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ওই অস্ত্র সংগ্রহের পদ্ধতি নিয়েও তৈরি হয়েছে বিতর্ক ।

জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে অ্যাসাল্ট রাইফেলসহ যে কোনো ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র কেনার ব্যাপারে বিশেষ কোনো বিধিনিষেধ নেই। বন্দুকের লাইসেন্স থাকলেই কিনে ফেলা যায় পছন্দসই অস্ত্র। এই বিষয়ে ফ্লোরিডা সরকারের বিধান রাখা হয়েছে বেশকটি। সরকার অনুমোদিত বিক্রেতার থেকে অ্যাসাল্ট রাইফেল কিনতে গেলে তার লাইসেন্স থাকলেও খতিয়ে দেখা হয় ব্যক্তিগত খুঁটিনাটি বিষয়, রাইফেল কেনার ক্ষেত্রে দীর্ঘ অপেক্ষার দরকার পড়ে না। পিস্তল জাতীয় হ্যান্ডগানের জন্য মাত্র তিন দিন অপেক্ষা করতে হয়। ক্রেতার বয়স এক্ষেত্রে ন্যূনতম ২১ বছর হওয়া আবশ্যক ও গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করা হয় না। ঘরোয়া ঝামেলায় দুই বা তার চেয়ে বেশি বার অভিযুক্তদের ক্ষেত্রেও এই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মানসিক রোগের ইতিহাস থাকলে এবং তার চিকিত্‍সায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার অভিজ্ঞতা থাকলেও আইনত আগ্নেয়াস্ত্রের নাগাল পাওয়া সম্ভব নয়।  

ফ্লোরিডার প্রাক্তন ল’ এনফোর্সমেন্ট কমিশনার জেরাল্ড বেইলি মনে করেন, অঙ্গরাজ্যেটির অস্ত্র বিক্রি আইনে কোনো সমস্যা নেই। তার ভাষায়, ‘এই বিষয়ে অন্য অঙ্গরাজ্যগুলির ভূমিকা সম্পর্কে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা রয়েছে। অস্ত্রের ব্যাপারে তাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে ফ্লোরিডা। মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্তদের চিহ্নিত করতে প্রশাসনের আরো কঠোর হতে হবে।’

অপরদিকে, পালস ক্লাবে হামলার পর কি ফ্লোরিডার অস্ত্র বিক্রি আইনে কোনো পরিবর্তন ঘটবে কি না- এই বিষয়ে জাতীয় নীতি নির্ধারক কমিটির ডিরেক্টর ব্রায়ান ম্যাল্টে জানিয়েছেন, ‘কর্পোরেট বন্দুক প্রস্তুতকারীরা ফ্লোরিডাকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছে। তার ফলে যে মাসুল গুণতে হল, তা আমরা দেখতেই পাচ্ছি।’


পরিসংখ্যান অনুসারে, ফ্লোরিডায় বর্তমানে ১৬ লাখ গোপন বন্দুক লাইসেন্সধারী রয়েছেন। গত ১৯ বছরে মাত্র ২৪ হাজার ৭১৩ জনের আবেদন বাতিল করা হয়েছে। এরমধ্যে ঠিকমতো পূরণ করা হয়নি বলে খারিজ হয়েছে ১৭ হাজার ৫৫৭টি আবেদনপত্র।






আপনার মন্তব্য

আলোচিত