সিলেট টুডে ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

১৮ জুন, ২০১৬ ১৬:২৭

ফালুজায় আইএসের পতাকা নামিয়ে উড়ছে ইরাকি পতাকা

জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস এর কাছ থেকে ফালুজা শহরের সরকারী ভবনগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয়ার দাবি করেছে ইরাকি বাহিনী।

এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ফালুজা শহরের সিটি কাউন্সিল ভবনের উপর এখন আইএস এর পরিবর্তে ইরাকের পতাকা উড়ছে। এর আগে শহরের দক্ষিণ ও পূর্বের কিছু এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেয়ার কথা জানিয়েছিলো ইরাকের সরকারী বাহিনী।

মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অ্যাশ কার্টার জানিয়েছেন, এখনও ফালুজার অনেক অংশে আইএস যোদ্ধারা অবস্থান করায় শহরটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।

গত ৩০ মে দীর্ঘ দুই বছর তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএসের দখলে থাকা ইরাকি শহর ফালুজার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে সর্বাত্মক হামলা শুরু করে ইরাকি সেনাবাহিনী। ইরাক-সিরিয়া মিলিয়ে এর চাইতে দীর্ঘ সময় আর কোনো শহর দখলে রাখতে পারেনি আইএস।

আইএসের শক্ত ঘাঁটি লক্ষ্য করে শুরু হয় গোলা নিক্ষেপ । একই সঙ্গে অগ্রসর হয় সন্ত্রাসবিরোধী এলিট বাহিনী। বোমা এবং আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে জবাব দেয়ার চেষ্টা করে মরিয়া আইএস।

ইরাকের রাজধানী বাগদাদের মাত্র ৫০ কিলোমিটার কাছের শহরটি থেকে রাজধানীর আশে পাশে হামলা চালায় জঙ্গিরা। চূড়ান্ত আক্রমণের আগে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ফালুজা দখলে নেয়ার চেষ্টা করে ইরাকি সেনারা। আইএসের নৃশংসতার প্রতিশোধ নিতে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বিভিন্ন গোষ্ঠীর মিলিশিয়া বাহিনী। অভিযানের চূড়ান্ত পর্যায়ে ফালুজায় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এই সমন্বিত বাহিনীর যোদ্ধারা।

তবে ফালুজায় আটকে পড়া বেসামরিক নাগরিকদের নিয়ে শঙ্কা এখনো কাটেনি। সংঘর্ষ শুরু হওয়ায় শহরটিতে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আটকা পড়েন ।

আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০১৪ সাল থেকে আইএসের দখলে থাকা ফালুজাবাসীর জীবন আগে থেকেই দুর্দশাগ্রস্থ ছিলো। এখন ইরাকি বাহিনীর হামলা থেকে বাঁচতে এসব সাধারণ মানুষকে মানব-ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে জঙ্গিরা।

মসজিদের শহর হিসেবে পরিচিত ফালুজা ইরাক যুদ্ধে বেশ কয়েকটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ। সাদ্দামের পতনের পর প্রায় ত্রিশ লাখ মানুষের শহরটির দখল নেয় আল-কায়দা এবং ২০১৪ সালে শহরটির নিয়ন্ত্রণ চলে যায় আইএসের হাতে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত