সিলেটটুডে ডেস্ক

২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ২২:১৭

রাখাইনে জাতিসংঘকেও মিয়ানমারের ‘না’

রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতা এবং তাদের গণহারে দেশত্যাগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সেখানে জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের নির্ধারিত সফর বাতিল করে দিয়েছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। ইয়াংগুনে অবস্থানরত জাতিসংঘের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ওই মুখপাত্র জানান, মিয়ানমার সরকার জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের পূর্বনির্ধারিত সফর বাতিল করে দিয়েছে। তবে সফর বাতিলের কোনো কারণ তারা জানায়নি।

গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারে পুলিশের বেশ কিছু চৌকিতে হামলার জন্য রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের দায়ী করে রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করলে সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এই সহিংসতা থেকে বাঁচতে পালিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে দলে দলে বাংলাদেশে ঢুকতে শুরু করে রোহিঙ্গারা।

রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ৪ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গার বেশিরভাগই বলছে, বিদ্রোহীদের দমনের নামে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নিরীহ রোহিঙ্গা মুসলমানদের হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণ করছে এবং তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে।

এ প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের 'জাতিগতভাবে নির্মূল' করছে মিয়ানমার।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ দাবি করে আসছে, পুলিশের চৌকিতে হামলার জন্য দায়ী রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের দমনেই রাখাইনে সেনা অভিযান চালানো হয়েছে। এছাড়া রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরাই মুসলিমদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে বলেও দাবি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের।

তবে মিয়ানমার সরকারের এমন দাবি সত্ত্বেও রোহিঙ্গা মুসলমানরা কেন পালাতে বাধ্য হয়েছে সেটা রাখাইনে গিয়ে তদন্ত করার জন্য জাতিসংঘ মিয়ানমারের ওপর চাপ দিয়ে আসছিল।

জাতিসংঘের দলটিকে রাখাইন রাজ্যে ঢুকতে দেওয়া হলে গত ২৫ আগস্ট সেখানে সহিংসতা শুরুর পর এটিই হতো জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের সেখানে প্রথম সফর। তবে বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই পূর্বনির্ধারিত এই সফর বাতিল করেছে মিয়ানমার।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত