সিলেটটুডে ওয়েব ডেস্ক

১৩ জুন, ২০১৫ ০০:২৩

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে আত্মহত্যা করেন নি হিটলার: ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে জার্মান একনায়ক অ্যাডলফ হিটলার মারা যাননি। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন এক ইতিহাসবিদ। তাঁর দাবি, সারা বিশ্বকে বোকা বানাতে জার্মানি থেকে গোপনে তাঁকে সরিয়ে দিয়ে আত্মহত্যার গল্প ফেঁদেছিল নাত্সিরা। প্রখ্যাত ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ জেরার্ড উইলিয়াম বলেছেন, সরকারি তথ্যপ্রমাণে হিটলার ও তাঁর স্ত্রীর মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ওই তথ্যপ্রমাণে মারাত্মক গলদ রয়েছে। কারণ, রুশরা তো ওই কুখ্যাত স্বৈরশাসকের দেহ পাওয়ার কথা জানাতেই পারেনি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষদিকে যখন মিত্রবাহিনীর আক্রমণে বিধ্বস্ত জার্মান নেতৃত্বাধীন অক্ষ শক্তি, তখন এক ব্যাঙ্কারে সস্ত্রীক আশ্রয় নিয়েছিলেন হিটলার। জানা যায়, পরাজয়ের গ্লানি সহ্য করতে না পেরে ব্যাঙ্কারেই নিজের মাথায় গুলি চালিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। সায়ানাইড খেয়ে আত্মঘাতী হন তাঁর স্ত্রীও। তারপর তাঁদের দেহের সত্কার করা হয়। কিন্তু উইলিয়াম বলেছেন, এই কাহিনী মিথ্যে। তাঁরা ওই সময় মারা যাননি। বিশ্বকে মিথ্যে কথা বলা হয়েছিল। সেই মিথ্যে এখনও চলছে। আসলে হিটলারকে ১৯৪৫-এর এপ্রিলে ব্যাঙ্কার থেকে বের করে জার্মানির বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

শীঘ্রই একটি টেলিভিশনে উইলিয়ামের এই নয়া তথ্য সম্প্রচার করা হবে বলে জানা গিয়েছে। ডেইলি এক্সপ্রেস এ খবর জানিয়েছে।  ওই অনুষ্ঠানে এমন কিছু তথ্য দেখানো হবে যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংক্রান্ত এতদিনের চলতি ঐতিহাসিক দাবিকে চ্যালেঞ্জ জানাবে।

উইলিয়ামের দাবি,  আগুনে পুড়িয়ে হিটলার ও ইভা ব্রাউনের সত্কারের কোনও বস্তুনিষ্ঠ প্রমাণ নেই। কেবল মাত্র কয়েকজন সন্দেহভাজন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানের ভিত্তিতে সারা বিশ্ব হিটলারের মৃত্যু ও দেহ সত্কারের বিষয়টি জেনেছিল। উইলিয়াম বলেছেন, ওই প্রত্যক্ষদর্শীরা কাউকে গুলি চালিয়ে মরতে দেখেননি। তাঁরা ব্যাঙ্কারেও ফুয়েরার ও ইভাকে ঢুকতেও দেখেননি। তাঁরা ব্যাঙ্কার থেকে মৃতদেহ বের করতে দেখেছিলেন। কিন্তু তাঁরা কেউ হিটলার বা ইভাকে মৃত অবস্থায় দেখেননি।

উইলিয়ামের দাবি, আসলে হিটলার ও ইভার মতো দেখতে দুজন খুন করা হয়। এভাবেই সারা বিশ্বকেই ধোঁকা দেওয়া হয়েছিল।

১৯৪৫-এ রাশিয়ার লাল ফৌজ জার্মানিতে ঢুকে পড়েছিল। নিজের দাবির স্বপক্ষে উইলিয়াম  বলেছেন, ওই সময় হিটলারের দেহ খুঁজে পাওয়ার দাবি রুশরা করতে পারেনি।শুধুমাত্র ১৯৬৮-তে হিটলার ও ইভার দেহ পাওয়ার কথা তারা জানিয়েছিল। আর এটা খুবই সন্দেহজনক। এই যুক্তি দিয়ে তাঁর দাবি, পুরো ব্যাপারটাই ছিল সাজানো। সবাইকে বোকা বানানোর ছক।

উইলিয়ামের বক্তব্য, ১৯৪৫-এ ব্যাঙ্কারে দুজনের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু তাঁরা হিটলার বা ইভা নন।

উইলিয়াম আরও দাবি করেছেন, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই কোনওদিনই হিটলারের মৃত্যুর কথা বিশ্বাস করেনি এবং তাঁর সন্ধানে সারা বিশ্ব তারা খুঁজে বেড়িয়েছে। তিনি বলেছেন, আসলে হিটলারের ব্যক্তিগত সচিব মার্টিন বোরম্যানের নিখুঁত পরিকল্পনায় সবকিছু হয়েছিল। জার্মানি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন ফুয়েরার।

 

 

-এপিবি আনন্দ

আপনার মন্তব্য

আলোচিত