ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

০৬ আগস্ট, ২০১৫ ১৩:৫৪

হিরোশিমায় পরমাণু বোমা নিক্ষেপের ৭০ বছর পূর্তি আজ

বোমা বিস্ফোরণস্থলের কাছে পিস পার্কের এই অনুষ্ঠানে ৪০ হাজার মানুষ উপস্থিতিতে হিরোশিমার মোতায়াসু নদীতে কয়েক হাজার প্রদীপ ভাসানো মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু বোমা নিক্ষেপের ৭০ বছর পূর্তি পালন করছে জাপানের হিরোশিমা শহরের বাসিন্দারা।

এছাড়াও এর আগের দিন বুধবার বৌদ্ধ ভিক্ষু ও হিরোশিমার বাসিন্দাদের প্রার্থনার মাধ্যমে ৭০ বছর পূর্তির স্মরণানুষ্ঠান শুরু করা হয়। বোমায় নিহতদের স্মরণে শহরের এটম বোমা ডোমের সামনে শিশুরা ‘মৃতের’ মতো শুয়ে পড়েন।

১৯৪৫ সালের ৬ অগাস্ট যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমান এনোলা গে থেকে ‘লিটল বয়’ নামের পরমাণু বোমাটি ফেলা হয়েছিল হিরোশিমায়। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ৬০০ মিটার উচ্চতা থেকে বোমাটি ফেলে মার্কিন বৈমানিকেরা। এতে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ নিহত হন।

আর অগাস্টের ৯ তারিখে পাশের শহর নাগাসাকিতে ফেলা হয় ‘ফ্যাট ম্যান’ নামের আরেকটি পরমাণু বোমা। এর ছয়দিন পরই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে আত্মসমর্পণ করে জাপানি বাহিনী।

পরমাণু বোমার তেজস্ক্রিয়তার প্রভাব এখনো জাপানের ওই দুটি শহরের বাসিন্দাদের বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। এটি বিশ্বের ইতিহাসে একক কোনো বোমায় সবচেয়ে বেশি মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনা।

রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ওই মুহূর্তটি স্মরণে জাপানজুড়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড খরতাপের মধ্যেই জাপানিরা ওই সময়টুকু নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে ছিলেন।

একটি ঘণ্টা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই হিরোশিমায় উপস্থিত হাজার হাজার মানুষ মাথা নিচু করে নিঃশব্দের এই প্রার্থনা শুরু করেন। এরপর হিরোশিমা ‍পিস মেমোরিয়াল পার্কে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের উপস্থিতিতে একটি শোকানুষ্ঠান হয়।

ওই অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে হিরোশিমার মেয়র কাজুমি মাতসুই পরমাণু অস্ত্র বিলুপ্ত করে সামরিক বাহিনীর উপর নির্ভরশীল নয়, এমন একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।
অ্যাবে বলেন, পরমাণু বোমা হামলার শিকার একমাত্র দেশ হিসেবে পরমাণু অস্ত্র নির্মূল করার বিষয়ে চাপ সৃষ্টি করা জাপানের দায়িত্ব। বক্তব্যে বিশ্বব্যাপী পরমাণু অস্ত্র বর্জন করার আহ্বান জানান তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত