ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

০৭ আগস্ট, ২০১৫ ১১:১৪

যৌনতায় রাজি না হওয়ায় ১৯ নারীকে হত্যা করেছে আইএস

আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের সঙ্গে যৌনসংসর্গে নারাজ হওয়ায় ১৯ নারীকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে আইসিস। এ বছরের জুন মাসে ঘটনাটি ঘটে ইরাকের মসুল শহরে।

এক কুর্দি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আইএস মসুল শহর দখল করে নেওয়ার পর, আরও অনেক মহিলার সঙ্গে ওই ১৯ জনকেও তুলে নিয়ে গিয়েছিল আইএস জঙ্গিরা। আইএস বন্দি নারীদের যৌনসংসর্গে লিপ্ত হতে যে বাধ্য করে, জাতিসংঘের রিপোর্টেও তার উল্লেখ রয়েছে।

আইএস-এর কবল থেকে কোনও ক্রমে বেরিয়ে আসা কয়েক জন নারী অবর্ণনীয় যৌন অত্যাচারের উল্লেখ করেছেন। জঙ্গিরা ইচ্ছে হলে, কখনও-সখনও তাঁদের বিয়েও করে। এই নারী হয় ক্রিস্টান নয়তো ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের। এক একজন নারীকে ছ-সাত জনের সঙ্গে শুতে বাধ্য করা হয়। আপত্তি করলে, মৃত্যুই ভবিতব্য।

ইরাকের একটি সংবাদপত্রে প্রকাশ, ওইসব নারী বন্দীরা ইরাকের মসুলে জঙ্গী গোষ্ঠীদের সঙ্গে অবস্থান করছিলো। জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, আইএস জঙ্গিরা সবচেয়ে বেশি যৌন দাসী কেনা বেচা করে।

জয়নব বাঙ্গুরা নামের এক মহিলা বন্দী জানায়, একজন মহিলাকে পাঁচ থেকে সাত জন ক্রেতা ক্রয় করে। মাঝে মাঝে পছন্দের দাসী কেনাবেচা নিয়ে নিজেদের মধ্যে লড়াই করে তারা। তিনি আরও জানান, বন্দীশালায় আইএসের যোদ্ধারা নারীদের অমানুষিক নির্যাতন করে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানায়, আইএস গত এক বছরে বহু নারীদের জিহাদের কথা বলে বন্দী করে যৌন দাসী হতে বাধ্য করেছে। এদের মধ্য থেকে অল্প কিছু প্রাণে বাঁচতে পেরেছিলো ।

মনকী দর হেঁকে প্রকাশ্যে বিক্রিও করা হচ্ছে নারীদের। মহিলার বয়স অনুযায়ী দাম হাঁকা হয়। ৪০ থেকে ৫০-এর মধ্যে বয়স যে নারীদের, তাঁদের দরই সবচেয়ে কম। বিক্রি করা হয় ৪৩ ডলারে।

সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হয় এক থেকে ৯ বছর বয়সিরা। দাম ১৭২ মার্কিন ডলার। ১০ থেকে ২০-র মধ্যে বয়স হলে, দাম ওঠে ১৩০ মার্কিন ডলার। যে কোনও ব্যক্তি এই নারীদের কিনতে পারেন। গত বছরই এই 'যৌন দাসী'দের দামের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে আইএস।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত